কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে হঠাৎই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ইস্যুতে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছেন।
কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, সেটা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ শ্রীলঙ্কা। কারণ, কলম্বোর দাবি, এই বিষয়টি ৫০ বছর আগেই মিটে গিয়েছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের এক আধিকারিক এশিয়ানেট নিউজকে বলেছেন, ‘বাস্তব পরিস্থিতির ভিত্তিতেই ১৯৭৪ সালে কচ্ছতিভু চুক্তি হয়েছিল। নয়াদিল্লি ও কলম্বোর বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা এই সমস্যা মিটিয়ে নেন। কয়েক দশকের পুরনো এই চুক্তি নিয়ে এখন আর ভাবিত নয় কলম্বো। এটি এখন নয়াদিল্লির ভাবনার বিষয়। জাফনা রাজ্যের অংশ ছিল কচ্ছতিভু। এই ঐতিহাসিক বাস্তবতার কারণেই ১৯৭৪ সালে নয়াদিল্লি ও কলম্বোর মধ্যে চুক্তি হয়। তবে এখন ভারত ও শ্রীলঙ্কায় নির্বাচন আসন্ন। ফলে এ বিষয়ে কিছু বলা উচিত হবে না।’
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বীপ?
শ্রীলঙ্কার উপর চিনের প্রভাব এবং জলপথে চিনের উপস্থিতি বৃদ্ধির ফলে কচ্ছতিভু দ্বীপ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এখন যদি এই দ্বীপ ভারতের অধিকারে থাকত, তাহলে চিনের মোকাবিলায় অনেক সুবিধা হত। ভারতীয় উপকূল থেকে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপ। কচ্ছতিভু দ্বীপের আয়তন ২৮৫ একর। এই দ্বীপে জনবসতি নেই। প্রায় ১,০০০ বছর আগে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এই দ্বীপের সৃষ্টি। ৩০০ বছর পরে এই দ্বীপের অধিকার নেয় রামেশ্বরম থেকে উত্তর-পশ্চিমে মাত্র ৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রামনাথপুরমের রামনদ রাজবংশ। ব্রিটিশ আমলে ভারত ও শ্রীলঙ্কা এই দ্বীপের অধিকার দাবি করে। ১৯৭৪ সালে চুক্তির মাধ্যমে দ্বীপটির অধিকার পায় শ্রীলঙ্কা। ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ভারতীয় মৎস্যজীবীদের কচ্ছতিভু দ্বীপে মাছ ধরতে যাওয়ার অনুমতি ছিল। পরে সেই অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হয়।
তামিলনাড়ুতে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ
বিজেপি-র পক্ষ থেকে কচ্ছতিভু নিয়ে ডিএমকে ও কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে। ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে তামিলনাড়ুর রাজনীতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Lok Sabha Election:'মোদী অপ্রতিরোধ্য!' জনসভা থেকে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকে কড়া বার্তা মোদীর
লজ্জা নেই বেজিং-এর! অরুণাচল প্রদেশের ৩০টি জায়গার নতুন নামকরণ নিয়ে প্রকাশিত চতুর্থ তালিকা
'যারা আজ এর বিরুদ্ধে নাচছেন তারা আফসোস করবেন'- নির্বাচনী বন্ড নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন মোদী