রবিবার মুম্বই সফরে কেসিআর বিকেলে ঠাকরের সাথে তার বাসভবনে দেখা করবেন এবং তার সাথে মধ্যাহ্নভোজন করবেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পর, চন্দ্রশেখর রাও পাওয়ারের বাসভবনে যাবেন যেখানে দুই নেতা জাতীয় রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
বিজেপি বিরোধিতার মঞ্চ আরও শক্ত করতে এবার আসরে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী (Telangana Chief Minister) কেসিআর (K Chandrashekar Rao)। কে চন্দ্রশেখর রাও রবিবার দেখা করতে চলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী (Maharashtra counterpart) উদ্ভব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (Nationalist Congress Party) বা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) সঙ্গে।
রবিবার মুম্বই সফরে কেসিআর বিকেলে ঠাকরের সাথে তার বাসভবনে দেখা করবেন এবং তার সাথে মধ্যাহ্নভোজন করবেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পর, চন্দ্রশেখর রাও পাওয়ারের বাসভবনে যাবেন যেখানে দুই নেতা জাতীয় রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী সন্ধ্যায় হায়দরাবাদে ফিরবেন বলে টিআরএস জানিয়েছে।
এই একই রাস্তায় হাঁটছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। উল্লেখ্য, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এনডিএ-র বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে নন-এনডিএ মুখ্যমন্ত্রীদের একত্রিত হয়ে কেন্দ্রের হয়ে লড়াই করতে হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিরোধী দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনার চেষ্টা গতি পেয়েছে। বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরা কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যগুলির উপর চরম অবিচার করার অভিযোগ করেছেন। তারা রাজ্যপালদের অসাংবিধানিকতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের সমালোচনা করে। এই প্রেক্ষাপটে, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক করার জন্য আলোচনা করছেন।
এই বিরোধী জোটের অন্যতম প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা ফোন করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনকে। এরপরে তার ফোন যায় তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর কাছে। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর সাম্প্রতিক সময়ে একই কথা উল্লেখ করেছেন। দেশের সমস্ত রাজনৈতিক শক্তি একত্রিত হয়ে বিজেপির পতন চায়।
মমতার সঙ্গে কথা বলার পর আলাদা ভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমালোচনা করেছেন কেসিআর। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 'নির্বাচনের পোশাক পরেন'। একটি সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদীর আমলের গুজরাট মডেলেরও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন,'উপর শেরভানি অন্দর পারেশানি' তাঁর কথায় এর অর্থ হল সমস্তটাই লোকদেখানো। ভিতরে কোনও পদার্থ নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অদূরদর্শী নেতা হিসেবে মন্তব্য করে তাঁর সমালোচনা করেন কেসিআর। তাঁর কথায় বাংলা যখন ভোট হয় তখন তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত দাঁড়ি রাখেন, তামিলনাড়ুতে গেলে লুঙ্গি পরেন। আর পঞ্জাবে গেলে পাগড়ি পরেন। হিমাচল , উত্তরাখণ্ড বা মণিপুরে গেলে স্থানীয় টুপি পরতে দেখা যায় তাঁকে।