বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য তৎপর পিনারাই বিজয়নের সরকার। কেরলের কলামণ্ডলম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সরানো হল রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে।
বাংলার পর কেরল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য তৎপর পিনারাই বিজয়নের সরকার। কেরলের কলামণ্ডলম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সরানো হল রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে কেরল সরকার।বিজয়েনর সরকার ঘোষণা করেছে, রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে অপসারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বদল করা হচ্ছে। ওই পদে বসানো হবে শিল্প ও সংস্কৃতি জগতের কোনও কৃতীকে।
গত কয়েক দিন ধরেই কেরলের ‘লেফ্ট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’ সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত বাড়ার কারণে করলে শিক্ষার ম্যান পড়ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী । সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন রাজ্যপাল। এমনকি কেরালার এতদিনের বাম শাসন না মেটাতে পারায় এইভাবে বিজেপি কেরালার রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চাইছে বলে অভিযোগও জানায় কেরালার শাসকদলের একাধিক মন্ত্রী। কেরলের পাশাপাশি, দক্ষিণের বাকি দু’টি অবিজেপি শাসিত রাজ্যেও একই পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি এমনও অভিযোগ উঠে এসেছে বার বার । ডিএমকে শাসিত তামিলনাড়ু দাবি তুলেছে, রাজ্যপালের পদ থেকে আরএন রবিকে সরানো হোক। অন্য দিকে, তেলঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরারাজন অভিযোগ করেছেন, ওই রাজ্যে তাঁর ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে পেগাসাসের মাধ্যমে ।
কেরল সরকার ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য অর্ডিন্যান্স আনার প্রস্তাব দিয়েছে। জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে কোনও মতেই রাজ্যপালকে আর রাখতে রাজি নয় সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছে পিনারাই বিজয়নের সরকার। এ বিষয়ে প্রস্তাব পাশ হলেও নিয়ম মেনে তাতে অনুমোদন দিতে হবে রাজ্যপালকেই। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর দাবি, সরকারের তরফে প্রস্তাব পাশ করানো হয়ে গেলে রাজ্যপাল তাতে বাধা দিতে পারেন না।
আরও পড়ুন
নতুন তালিবানি ফরমান জারি, জিম ও পার্কে যাওয়া বন্ধ মহিলাদের, বোরখা নিয়ে আরও কড়া ফতোয়া
জেএনএউ ক্যাম্পাসে ছাত্রদের সংঘর্ষ, বাইরে থেকে গুন্ডা ডেকে এনে চলল মারামারি
মদের খুচরো ব্যবসায় পা রাখতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, তিন জেলায় খোলা হবে 'সরকারি মদের দোকান'