সংক্ষিপ্ত
রাজ্যের তিন জেলায় এবার সরকারি মদের দোকান খুলতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ডাকা হয়েছে ই-টেন্ডারও।
মদের খুচরো ব্যবসায় পা রাখতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার তিন জেলায় এবার সরকারি মদের দোকান খুলতে চলেছে রাজ্য সরকার। ফ্র্যাঞ্চাইজি খুঁজতে ইতিমধ্যেই ই-টেন্ডার ডাকা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সমালচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। 'দুয়ারে মদ'-সহ একাধিক কটাক্ষ আসছে বিরোধী শিবির থেকে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের সমালচনায় মুখ খুলেছেন বাম থেকে পদ্ম শিবিরের নেতারা। কিন্তু সমালচনায় বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি রাজ্য সরকার। বরং তৃণমূলের পালটা প্রশ্ন 'সমস্যা কোথায়?'
রাজ্যের তিন জেলায় এবার সরকারি মদের দোকান খুলতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ডাকা হয়েছে ই-টেন্ডারও। রাজ্যের আর্থিক সমস্যার সমাধানেই কি এই পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গের তিন জেলা র্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারেই প্রথম শুরু হচ্ছে মদের সরকারি রিটেল শপ। জারি করা হয়েছে নির্দেশিকাও। সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধীতায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেন,'দুয়ারে সরকার বলে দুয়ারে মদ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে এই সরকার। বাংলাকে ধ্বংস করতে চাইছে।' অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের স্পষ্ট বক্তব্য,'রাজ্য সরকার মদ আর মা কালিতে টিকে আছে। তাই মদ বাড়িয়ে যুব সমাজকে মদে ডুবিয়ে দিতে চাইছে। যাতে চাকরি না চায়।'
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের পালটা মন্তব্য,'বিরোধীদের বলুননা কেন্দ্রকে পাওনা ১ লাখ ৯৬৮ কোটি টাকা দয়ে দিতে বলতে।' তিনি বলেন,'দোকান করলে অসুবিধা কোথায়? সারা ভারতেই তো হয়। আইন মেনেই কাজ হবে।'
আরও পড়ুন -
'ওঁরা কি মাওবাদী?', দু'পক্ষের সাওয়াল জবাবের পর জামিন মঞ্জুর অরুণিমা-সহ ৩০ জনের
টাকা লেনদেন মানিক ভট্টাচার্যের ভাই ও জামাই-এর অ্যাকাউন্ট থেকেও, চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির