চিকিৎসা চলাকালীন চিকিৎসককেই পর পর ছুরির কোপ, কেরলের হাসপাতালে ভয়ঙ্কর ঘটনা

Published : May 10, 2023, 12:10 PM IST
Kerala Man stabbed doctor and policemen during treatment in hospital

সংক্ষিপ্ত

চিকিৎসক ছাড়াও হাসপাতালে পাহারা দিতে থাকা পুলিশ কর্মীদের একের পর এক ধারালো সরঞ্জামের কোপ মারতে থাকেন ওই ক্ষিপ্ত ব্যক্তি। 

চিকিৎসা চলাকালীন চিকিৎসারত মহিলা ডাক্তারকেই ডাক্তারির সরঞ্জাম তুলে একের পর এক কোপ, ভয়ঙ্কর ঘটনায় চাঞ্চল্য পড়ে গেল কেরলের কোত্তারাক্কারা তালুক হাসপাতালে। মঙ্গলবার রাতে এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে। চিকিৎসা চলাকালীন তিনি পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। আচমকা তাঁকে চিকিৎসা করার সময় মহিলা ডাক্তার ও উপস্থিত পুলিশ অফিসার সহ পাঁচ জনকে ছুরি দিয়ে পর পর কোপ মারতে থাকেন ওই ব্যক্তি। বুধবার ভোর ৫ টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ছুরির আঘাত এতই গুরুতর হয়ে যায় যে, ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রাণ হারান মহিলা ডাক্তার বন্দনা দাস।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, ছুরি মারার ঘটনায় অভিযুক্ত বছর বিয়াল্লিশের সন্দীপ উত্তর প্রদেশের একটি স্কুলের শিক্ষক। তিনি কেরলের পুয়াপ্পল্লী এলাকার বাসিন্দা। কোত্তারাক্কারা তালুক হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার বন্দনা দাসের বয়স ছিল মাত্র ২৩ বছর। তিনি ওই হাসপাতালের একজন হাউস সার্জন ছিলেন। ঘটনার জেরে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন তাঁর সহকর্মীরা।

ঘটনার সময় হাসপাতালে উপস্থিত কর্মকর্তাদের বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্ত সন্দীপ ড. বন্দনার পিঠে একের পর এক মোট ছয়বার ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে ওই হাসপাতাল থেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে তিরুবনন্তপুরমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর পিঠে ও পেটে ছুরির আঘাতে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছিল। শরীরে প্রচণ্ড অভ্যন্তরীণ আঘাতের কারণে মর্মান্তিক পরিণতি হল।

এই ঘটনার আগে অভিযুক্ত সন্দীপ নিজের প্রতিবেশীদের সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন, যার ফলে, তাঁর প্রতিবেশীরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন এবং পুলিশ মঙ্গলবার তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়। প্রতিবেশীদের সাথে মারপিট করার সময় তাঁর শরীরে কিছু চোট লেগেছিল, সেই চোটের চিকিৎসা করাতে পুলিশ মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তার বন্দনা দাস সেই ক্ষত সারানোর জন্যই সন্দীপের চিকিৎসা করছিলেন। হঠাৎ করেই সন্দীপ তিনি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। ডাক্তারির সরঞ্জাম দিয়েই পুলিশকর্মী ও চিকিৎসককে ব্যাপকভাবে আঘাত করেন তিনি। এরপর হাসপাতালেও ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

তবে, পুরনো মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্দীপ এর আগে একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর চিকিৎসা সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল কিনা, সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তিনি হঠাৎ কেন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন, সেই দিকটিও তদন্ত করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন-

যৌন হেনস্থার দায়ে ৫০ লক্ষ ডলার জরিমানা দেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, কড়া নির্দেশ দিল মার্কিন আদালত
দাউদাউ করে জ্বলছে পাকিস্তান! ইমরান খানের গ্রেফতারির পর বন্ধ হয়ে গেছে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব
একাধিক জেলায় জারি তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা, তারই সঙ্গে বুধবার বৃষ্টির পূর্বাভাস

PREV
click me!

Recommended Stories

News Round Up: বঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডা থেকে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন অজি পেশার, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে
AI প্রযুক্তির উন্নতিতে জোর, ভারতকে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রস্তাব মাইক্রোসফট সিইও-র