কোট্টায়ামের এক সিনিয়ন পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন মোডাস অপারেন্ডিটি হল প্রথমে টেলিগ্রাম ও মেসেঞ্জার গ্রুপে যোগদান করা। তারপর দুই বা তিন দম্পতি বারবার নানা জায়গায় মিলিত হয়। তারপরই মহিলাদের বিনিময় করা হয়। তদেন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে এক মহিলাকে তিন জনের কাছে পাঠান হয়েছিল।
একজনের সঙ্গে নয় সঙ্গী বদল করে উদ্যাম যৌনতার (Sex) ভয়ঙ্কর এক ব়্যাকেট সামলে এল কেরলে (Kerala)। কেরল পুলিশের (Police) দাবি এই ব়্যাকেটে যুক্ত রয়েছে প্রায় ১ হাজার দম্পতি। যাদের মধ্যে মাত্র ৭ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ওপর কড়া নজর রয়েছে পুলিশের। তেমনই জানিয়েছে কেরলের পুলিশ।
সেক্স ব়্যাকেট ফাঁস-
এক মহিলা, যিনি নিজেরে গৃহবধূ হিসেবে দাবি করেছেন- তাঁরই অভিযোগের ভিত্তিতে সামনে এসেছেন কেরলের এই সেক্স ব়্যাকেট। মহিলার অভিযাগ ছিল, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। তাঁর স্বামী ক্যাপল শেয়ারিং গ্রুপের সদস্য ছিলেন। সেই গ্রুপের নিয়ম অনুযায়ী তাঁর স্বামী তাঁকে অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেছিলেন। তাঁর স্বামী ও তিনি কারুকাচলের বাসিন্দা বলেও জানিয়েছেন। তদন্তে নেমে পুলিশ এজাতীয় অনেক নির্যাতিতের সন্ধান পায়। তবে অভিযোগকারী মহিলার স্বামী ও তার বন্ধুদের বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। তিনি অপ্রকৃত যৌনতার শীকার বলেও দাবি করেছেন।
যৌনতার জন্য জম্পতি ভাগ-
এই ঘটনার তদন্তে নেমে কেরল পুলিশ যৌনতার জন্য দম্পতি অদল-বদল করে এমন একটি ব়্যাকেটের সন্ধান পায়। স্বামী তার স্ত্রীকে পাঠায় অন্য পুরুষের কাছে। পরিবর্তে সে অন্য পুরুষের স্ত্রীর সঙ্গে যৌনতা উপভোগ করে। পুলিশ জানিয়েছেন ৭ জনকে গ্রেফতার করা হলেও এই চক্রে রয়েছে এমন ২৫ জনের ওপর নজর রয়েছে তদন্তকারীদের। আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান এই চক্রে ১হাারেও বেশি দম্পতি যুক্ত রয়েছে। মূলত পুরুষরাই তাদের স্ত্রীদের বদল করে এই গ্রুপের সদস্যদের কাছে।
চক্রের বিস্তার-
কেরল পুলিশের অনুমান এই চক্রের বিস্তার রাজ্যের তিনটি জেলায় রয়েছে। সমাজের উচ্চ পদস্থ আধিকারীকরাও এই চক্রের একটি অংশ।
চক্র সম্পর্কে তথ্য-
কোট্টায়ামের এক সিনিয়ন পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন মোডাস অপারেন্ডিটি হল প্রথমে টেলিগ্রাম ও মেসেঞ্জার গ্রুপে যোগদান করা। তারপর দুই বা তিন দম্পতি বারবার নানা জায়গায় মিলিত হয়। তারপরই মহিলাদের বিনিময় করা হয়। তদেন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে এক মহিলাকে তিন জনের কাছে পাঠান হয়েছিল। এই গ্রুপের কিছু পুরুষ সদস্য স্ত্রীকে অন্য পুরুষের কাছে পাঠিয়ে অর্থ উপার্যন করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
তদন্ত-
পুলিশ জানিয়েছে মহিলা বিমিময় এই গ্রুপে কারা কারা জড়িত রয়েছে তারা কোন গ্রুপের সদস্য সে সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে। এর আগে ২০১৯ সালে এক গৃহবধূ আদালতে এজাতীয় নেটওয়ার্কের অভিযোগ করেছিলেন। মহিলার অভিযোগ ছিল শেয়ার চ্যাটের সাহায্য নিয়ে তাঁকে যৌনতার জন্য অন্য পুরুষের কাছে পাঠান হয়েছিল।
'সাধের গোঁফ' কামাতে রাজি নয়, তাতেই চাকরি নিয়ে টানাটানি পুলিশ কনস্টেবলের
অনলাইনে লুডো খেলতে গিয়ে মন দেওয়া-নেওয়া, পাকিস্তানি প্রেমিকের টানে ঘর ছেড়ে পুলিশের জালে গৃহবধূ
PM Modi Reviews COVID 19: শহর থেকে গ্রাম, কোভিড ১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় জোর মোদীর