পাক জঙ্গি 'ফৌজিভাই'কে শেষ করল ভারতীয় জওয়ানরা, নাইকুর পর আবারও সাফল্য এল

পুলওয়ামা এনকাউন্টারে হত 'ফৌজি ভাই'
পাকিস্তানের নাগরিকের আসল নাম ইকরাম
একাধিক নামে পরিচিত ছিল
এলইডি এক্সপার্ট হিসেবেই নাম করেছিল 
 

Asianet News Bangla | Published : Jun 3, 2020 11:51 AM IST / Updated: Jun 04 2020, 10:04 AM IST

রিয়াজ নাইকুকে নিকেষ করার এক মাসের মাথায় আবারও উপত্যকায় বড় সাফল্যের মুখ দেখলেন ভারতীয় জওয়ানরা। বুধবার জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় জওয়ানদের গুলিতে নিহত হল জইশ ই মহম্মদর জঙ্গি আবদুল রহমন। নিহত জঙ্গি এলইডি এক্সপার্ট হিসেবেই পরিচিত ছিল।  ফৌজি ভাই  অথবা ফৌজি বাবা বলে তাকে এক ডাকে চিনত সংগঠনের সদস্যরা। 


স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন পুলওয়ামায় যে গাড়ি বোমা নিরাপত্তা রক্ষীরা উদ্ধার করেছিল তা তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা ছিল আবদুল বা ফৌজি ভাইয়ের। তখনই তাঁরা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন উপত্যকায় আবারও সক্রিয় হয়ে গিয়েছে জইশ জঙ্গি। পাকিস্তানের নাগরিক হলেও ভারতে নাকশকতা ছড়ানোর কাজে লিপ্ত হয়েছে। ইসমাইল নাম নিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল ভারতে।  তাই তাঁরাও তাঁদের নেটওয়ার্ক সক্রিয় করে। সেইমত তাঁদের কাছে খবর আসে ২৭ মে পুলওয়ামায় যে ধরনের গাড়ি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে সেই ধরনের আরও দুটি গাড়ি বোমা তৈরি করেছে ফৌজি ভাই। সেই দুটি গাড়ি বদগাম আর কুলগামে রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা। 


অনেকেই দাবি করে থাকেন ফৌজি ভাইয়ের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে মাসুদ আজহারের। তিনি মাসুদের ভাইপো বলেও দাবি করা হয়ে থাকে। তবে এই বিষয়ে এখনই নিশ্চিত নয় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে ফৌজি ভাই আফগান যুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিল বলে নিশ্চিত দেশের গোয়েন্দা সংস্থা। 


একটি সূত্র জানাচ্ছে ফৌজি ভাইয়ের আসল নাম ইকরম। ১৯৯৯ সালে ভারতীয় বিমান ছিনতাইয়ের মূল পাণ্ডা আফদুল রউফ আসগরের ঘনিষ্ট ও বিশ্বাসভাজন ছিলেন। আসগর জইসের তৎকালীন কমান্ডার মাসুদ আজহারের ছোট ভাই। 

৩ জইশ জঙ্গি হত পুলওয়ামায়, উত্তপ্ত উপত্যায় আবারও সাফল্য ভারতীয় জওয়ানদের ...

অভিনব মাস্ক তৈরি ব্যাংককের বিউটি ক্লিনিকে, ব্যবহারে অটুট থাকবে সৌন্দর্য ..

শেষ ১৬ দিনে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক, আনলক আরও বিপদ ডেকে আনবে কি ...

নিজের স্থান পুনরুদ্ধার করতে প্রশিক্ষিত জইশ জঙ্গিদের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে আবার ভারতে ঢুকেছিল ফৌজি ভাই। এই দেশে বড়সড় নাশকতার ছক কষা হচ্ছিল বলেও অনুমান করছে ভারতীয় নিরাপত্তা রক্ষীরা। এরা পুলওয়ামা, ত্রাল, রাজাপোরাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘাঁটি তৈরি করেছিল। আইইডি আক্রামণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এরা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করত বলেও দাবি ভারতীয় সেনা বাহিনীর। 

ফৌজি ভাইয়ের সঙ্গে আরও দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। নিহতদের যদি কেউ সনাক্ত করে তবে দেহ তুলে দেওয়া হবে। আর যদি তা না হয় তাহলে ময়না তদন্ত ও ডিএনএ সংগ্রহের প্রশাসনই নিজেদের মত করে শেষকৃত্য সম্পন্ন করবে বলেও জানন হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফ থেকে আরও জানান হয়েছে, তিন জঙ্গিকে আগে আত্মসমর্পনের নির্দেশ ও সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সেই দিকে কর্ণপাত না করে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তারপরই পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। আর তাতেই নিহত হয় তিন জঙ্গি। তবে ফৌজি বাবা সহ তিন জঙ্গিতে একসঙ্গে নিকেষ করায় ভারতীয় জওয়ানরা বড় সাফল্যের মুখ দেখেছে বলেও দাবি করা হয়েছে। 

Share this article
click me!