নতুন নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪৭৯৬ জন, যার মধ্যে ৯৯ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ১১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে ১০০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
২১ জুলাই দেশের মহিলাদের খুশি হওয়ার বিশেষ কারণ রয়েছে। ১৫ বছর আগে এই দিনে, প্রতিভা পাটিল দেশের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। আর এবার ফের একজন মহিলাকে রাষ্ট্রপতির পদে দেখবে গোটা ভারত। এনডিএ সমর্থিত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন এখন সময়ের অপেক্ষা।
নতুন নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪৭৯৬ জন, যার মধ্যে ৯৯ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ১১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে ১০০ শতাংশ ভোট পড়েছে। দিল্লি ও পুদুচেরি সহ ৩০টি জায়গায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট হয়েছে। এই নির্বাচনে, রাজ্যসভা এবং লোকসভার সদস্যদের ছাড়াও, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিধানসভাগুলির নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। দ্রৌপদী মুর্মু ৩,৭৮,০০০ মূল্যের ৫৪০ ভোট পেয়েছেন এবং যশবন্ত সিনহা ১,৪৫,৬০০ মূল্যের ২০৮ ভোট পেয়েছেন। মোট ১৫টি ভোট অবৈধ হয়েছে। রাজ্যসভার মহাসচিব এ তথ্য জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এই রাউন্ডে সাংসদদের ভোট গণনা করা হয়েছে, যার মধ্যে দ্রৌপদী মুর্মু বড় লিড পেয়েছেন। ভোট গণনায় নিযুক্ত কর্মকর্তাদের মতে, দ্রৌপদী মুর্মু ৭৪৮টির মধ্যে ৫৪০টি ভোট পেয়েছেন। এছাড়া যশবন্ত সিনহা পেয়েছেন ২০৮ ভোট।
রিটার্নিং অফিসার পিসি মোদী জানিয়েছেন, সাংসদদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। যেখানে এখন পর্যন্ত দ্রৌপদী মুর্মু পেয়েছেন ৫৪০ ভোট, যার মূল্য ৩ লাখ ৭৮ হাজার। এ ছাড়া যশবন্ত সিনহা পেয়েছেন ২০৮ ভোট এবং তার মূল্য ১ লাখ ৪৫ হাজার। এখন পর্যন্ত ৭৪৮টি ভোট বৈধ হয়েছে, ১৫টি ভোট অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৈধ ভোটের মূল্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ৬০০ টাকা।
তাঁর রাষ্ট্রপতি পদে মনোনীত হওয়াকে যুগান্তকারী মুহূর্ত হিসেবে বিবেচনা করছেন ভারতের সমস্ত অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁর মঙ্গল কামনায় ওড়িশার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা সেজে উঠেছেন স্থানীয় উপজাতির মোড়কে।
রাষ্ট্রপতির আসনে কোন প্রার্থীকে বসাতে চাইছে কেন্দ্র সরকার? রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। একবার শোনা গিয়েছিল, কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের নাম। কখনও আবার শোনা গেছে, উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর উপরেই আস্থা রয়েছে বিজেপি শিবিরের। তবে, জল্পনা খারিজ করে দিয়ে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুর নামই মনোনীত করে পদ্ম শিবির। ২০০০ সালে ঝাড়খণ্ড রাজ্য তৈরির পর দ্রৌপদীই প্রথম রাজ্যপাল যিনি তাঁর পদে আসীন ছিলেন ৫ বছর। দ্রৌপদীই প্রথম মহিলা যাঁকে রাজ্যপালের পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
পাঞ্চি পরে ভোট- বিজেপির বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ, কমিশনে নালিশ তৃণমূলের
পাঞ্চি পরে ভোট- বিজেপির বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ, কমিশনে নালিশ তৃণমূলের