মুক্তির পর পেরারিভালান কে সাংবাদিকরা একগুচ্ছ প্রশ্ন করেছিলেন। সেখানে এই প্রশ্নটিও ছিল যে দীর্ঘ দিন পরে মুক্তির স্বাদ পেয়ে তাঁর কেমন লাগছে। তখন পেরারিভালান বলেছেন, 'আমি এইমাত্র বেরিয়ে এসেছে। আইনি লড়াইয়ে ৩১ বছর পার হয়েগেছে।
দীর্ঘ দিন পরে মুক্তির আদেশ পেলেন রাজীব গান্ধীর হত্যাকারী এজি পেরারিভালান। সুপ্রিম কোর্টের মুক্তির নির্দেশ দেওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে মৃত্যুদণ্ডের কোনও প্রয়োজন নেই। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রীতিমত খুশি তার পরিবার ও বেশকয়েকটি তামিলপন্থী সংগঠন।
প্রাথমিকভাবে চেন্নাইয়ের একটি বিশেষ আদালতের নির্দেশে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল রাজীব গান্ধীর হত্যাকারী পেরারিভালানকে। পরে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া বয়েছিল। এবার সেই সাজা থেকেও মুক্তি পেলেন পেরারিভালান। তারপরই পেরারিভালান বলেছিলেন যে তিনি তাঁর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করার আগে স্বাধীনতা পেতে চায়। মুক্ত বাতাসের স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন।
মুক্তির পর পেরারিভালান কে সাংবাদিকরা একগুচ্ছ প্রশ্ন করেছিলেন। সেখানে এই প্রশ্নটিও ছিল যে দীর্ঘ দিন পরে মুক্তির স্বাদ পেয়ে তাঁর কেমন লাগছে। তখন পেরারিভালান বলেছেন, 'আমি এইমাত্র বেরিয়ে এসেছে। আইনি লড়াইয়ে ৩১ বছর পার হয়েগেছে। আমাকে একটু শ্বাস নিতে হবে। আমাকে কিছু সময় দিন।'
পেরারিভালান আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন মৃত্যুদণ্ডের কোনও প্রয়োজন নেই। শুধু করুণা নয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতিসহ অনেকেই এমনটাই মনে করেন। এর অনেক উদাহরণ রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন অনেক অপরিচিত ব্যক্তি তাঁর এই লড়াইয়ে তাঁকে সমর্থন করেছিলেন। কোনও দিনও এই লড়াইয়ে তিনি একা ছিলেন না। যাঁরা তাঁকে সাহায্য করেছেন তাঁদের প্রত্যেককেই ধন্যাবাদ জানিয়েছেন রাজীব গান্ধীর হত্যাকারী।
পেরারিভালানকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তিনি বলেছেন, বিচার-আইন-রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ইতিাসে স্থান পেয়েছে এই রায়। তিনি আরও বলেছেন, রাজ্যও সুপ্রিম কোর্টের সামনে পেরারিভালানের আবেদনের সমর্থনে যুক্তি দিয়েছিল। রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে পেরারিভালানের মুক্তির রায় ঘোষণার পরই তাঁর বাড়িতে শুভাকাঙ্খীদের ভিড় বাড়তে থাকে। মাকে সঙ্গে নিয়ে পেরারিভালান সকলকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁর বোন ও পরিবারের বাকি সদস্যরাও তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।
AIADMK সাংসদ পি রবীন্দ্রনাথও সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও স্বাগত জানিয়েছেন এই রায়কে। ২০১৮ সালে তৎকালীন রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে সুপারিশ করা হয়েছিল রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সাত জনকে মুক্তি দেওয়া হোক। ১৯৯১ সালে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবুদুরে একটি নির্বাচনী প্রচারসভায় এলটিটিই -র আত্মঘাতী জঙ্গীরা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়ে ছিল।