লাদাখে আরও সেনা বাড়াচ্ছে ভারত
সেনা জওয়ানদের সহযোগিতা করতে হবে
নির্দেশ আইটিবিপিকে
সবকটি পোস্টেই চলছে নজরদারী
১৬ জুন পূর্ব লাদাখ সীমান্ত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দুই দেশই সামরিক পর্যায়ে একাধিকবার বৈঠক করেছে। সীমান্ত সমস্যা সমাধানে কূটনৈতিক স্তরেও বৈঠক হয়েছে। সীমান্ত সৈন্য সংখ্যা কমাতে সমহত হয়েছে দুই দেশই। কিন্তু তারপরেও কমছে না সীমান্ত উত্তাপ। পাশাপাশি পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সৈন্য বাড়াচ্ছে দুই দেশই।
গালওয়ান সীমান্তের ওপারে চিনা সেনা বাঙ্কার তৈরি করেছে। সেখানে রীতিমত তৎপর চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। ভারী যানবাহন চলাচল ধরা পড়েছে স্যাটেলাইট ইমেজে। এরপর আর হাতে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে নারাজ ভারত। সূত্রের খবর পূর্ব লাদাখের বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে বাড়ান হচ্ছে ভারতীয় জওয়ানদের সংখ্যা। সেনা সূত্রের খবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ৩,৪৮৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়েই ভারতীয় বাহিনীর শক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গালওয়ানের ১৪ নম্বর পেট্রোল পোস্টে লাল ফৌজের কাণ্ড, রীতিমত যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে চিন ..
'ড্রাগনের চোখে আগুন' কতটা দেখলেন সেনা প্রধান, বৈঠকে দিতে পারেন তার পূর্ণ বিবরণ ...
সূত্রের খবর ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইন্দো-টিবেট বর্ডার পুলিশকে।জেনারেল পরমজিৎ সিং-এর সঙ্গে আইটিবিপি প্রধান এসএস দেশওয়াল লে পরিদর্শের পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে আইটিবিপির জওয়ানরাও। এক সেনা কর্তা জানিয়েছেন ঘটনার আগে থেকেই সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছিল লাদাখে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত টহল কেন্দ্রগুলিতেও নজরদারী চালান হচ্ছে। সেই জন্য আগে যেখানে এক পাল্টুন সেনা পাঠান হত এখন সেখানে এক কোম্পানি জওয়ান পাঠান হয়। এক পাল্টুনে ৩০ জন সৈন্য থাকেন। একশো জন সেনা থাকেন এক কোম্পানিতে।
জয়প্রিয় ফেয়ারনেস ক্রিমে আর থাকছে না 'ফেয়ার', বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল বহুজাতিক সংস্থা ..
সেনাবাহিনী সূত্রের খবর ন্যাশানাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত গালওয়ান উপত্যকা, হটস্প্রিং আর প্যাংগন লেক এলাকায় দুই দেশের জওয়ানদের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। সূত্রের খবর গালওয়ানের ১৪ নম্বর, কাংকা লা-র ১৫ নম্বর আর হটস্প্রিং-এর ১৭ নম্বর পোস্ট নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। অন্যদিকে গতকালের স্যাটোইট ইমেজে দেখা যাচ্ছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কোথাও বাঙ্কার তৈরি করেছে। কোথাও আবার নির্মাণ কাজে জোর দিয়েছে পিপিলস লিবারেশ আর্মি। সবমিলিয়ে সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় নজরদারী বাড়ানোর ওপরই জোর দিচ্ছে ভারত।