জয়প্রিয় ফেয়ারনেস ক্রিমে আর থাকছে না 'ফেয়ার', বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল বহুজাতিক সংস্থা

ফেয়ার অ্য়ান্ড লাভলি থেকে বাদ পড়ছে ফেয়ার
জানান হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে 
আগামী দিনে নতুন পোর্টফোলিও নিয়ে আসছে ক্রিম

Asianet News Bangla | Published : Jun 25, 2020 12:31 PM IST / Updated: Jun 25 2020, 06:08 PM IST

একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাল্টি ন্যাশানাল কোম্পানি হিন্দুস্থান ইউনিলিভার। তাঁদের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি। এই নামটি থেকে ফেয়ার শব্দটি বাদ দিয়ে দেওয়া হবে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে। পরবর্তী নাম অনুমোদনের জন্য পাঠান হয়েছে। আগামী চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে নতুন নামে আর মোড়কে বাজারে আসতে চলছে 'ফেরার অ্যান্ড লাভলি' নামের ফেয়ারনেস ক্রিমটি। 


সংস্থার পক্ষে থেকে জানান হয়েছে, সৌন্দর্য আর লাবন্যের কথা মাথায় রেখেই ক্রিমটির নাম দেওয়া হয়েছিল ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি। কিন্তু বর্তামানে ফেয়ার শব্দটি বাতিল করা হচ্ছে। সংস্থার যুক্তি সৌন্দর্য মানুষের একান্তই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি। যা মানুষের মনের বিষয়। ব্র্যান্ডের মূল উদ্দেশ্যই ছিল এমন একটি ক্রিম তৈরি করা যা যেকেউ যেকোনও জায়গায় ব্যবহার করতে পারে। পাশাপাশি ক্রিম ব্যবহারে গ্রহকের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলাই  মূল লক্ষ্য  ছিল। 

কিন্তু এই ক্রিমটির বিজ্ঞাপণ নিয়ে রীতিমত সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। বিজ্ঞাপণে বর্ণ বৈষম্যকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও সরব হয়েছিলেন অনেকে। এইচইউএল-এর চেয়ারম্যান সঞ্জীব মেহেতা জানিয়েছেন আরও আকর্ষণীয় পোর্টফোলিও নিয়েই আগামী দিনে বাজারে আসবে নতুন ক্রিম। যা ব্যবহারে আরও স্বাচ্ছন্দ হবেন গ্রহকরা। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে আগামী দিনে ভারত সহ অন্যান্য দেশেই এই ক্রিম বিক্রির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মূলত মহিলাদের জন্যই এই ক্রিম। তাই বিজ্ঞাপণেই সেই দিকে নজর দেওয়া হবে। সংস্থার পক্ষ থেকে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ফর্সা সাদা এই জাতীয় শব্দগুলি ব্যবহার করা হবে না। 

সংস্থার পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। যেখানে জানান হয়েছে ভারতের বাজারে ফেয়ারনেস ক্রিমের চাহিদা প্রচুর। প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। যার মধ্যে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির হাতেই রয়েছে ৭০ শতাংশ শেয়ার। 


দিন কয়েক আগেই জনসন অ্যান্ড জনসন দুটি ফেয়ারনেস ক্রিম ভারতের বাজারে বিক্র বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার এক সপ্তহের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিল ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি। তবে একটি সূত্র বলছে আমেরিকার ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার প্রতিবাদের কারণে ফেসারনেস স্কিনকেয়ার পণ্য পুনর্নববিকরণযোগ্য তদন্তের অধীনে এসেছে। বিক্ষোভের কারণে বহু বহুজাতিক সংস্থাকেই আন্দোলকারীরা জানিয়েছেন এই বর্ণ বৈষম্যের জন্য তাদের অবদানও কম নয়। তারপরই কী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি কোনও সংস্থা। 

কিছুদিন আগে ভারতের একটি বিবাহ সংক্রান্ত অনলাইন সংস্থা ত্বকের বর্ণের ফিল্টার পদ্ধতি চালু করায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিল। পরবর্তীকালে অবশ্য সংস্থাটি সেই বর্ণ ফিল্টার মুছে ফেলে। 


 

Share this article
click me!