জয় মিশ্র টেনি রবিবারের ঘটনা সম্পর্কে অমিশ শাহকে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও পক্ষই এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি।
উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) বিধানসভা নির্বাচনের আগে লাখিমপুর খেরির (Lakhimpur Kheri) ঘটনা যে বিজেপির (BJP) রক্তচাপ বাড়াচ্ছে। সূত্রের খবর বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর (Ajay Mishra) সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বুধবারই নর্থ ব্লকে নর্থব্লকের (orth Block) প্রথম তলার অফিসে প্রায় আধ ঘণ্টার জন্য এসেছিলেন অজয় মিশ্র। তিনি সেখানে কিছু অফিশিয়াল কাজকর্মও সারেন। তারপর চলে যান অমিত শাহের বাসভবনে। সেখানেই তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। তবে কী নিয়ে অজয় মিশ্রর সঙ্গে অমিত শাহ আলোচনা করেছিলেন তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত দুই পক্ষই নীরব রয়েছে। লাখিমপুর খেরির ঘটনায় কৃষকদের হত্যার অভিযোগ উঠেছে । যদিও প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অজয় মিশ্র টেনি ও তাঁর ছেলে আশিস মিশ্র।
সূত্রের খবর অজয় মিশ্র টেনি রবিবারের ঘটনা সম্পর্কে অমিশ শাহকে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও পক্ষই এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি। তবে উত্তর প্রদেশের ভোটের আকে কৃষক হত্যার ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের নাম জড়িয়ে পড়ায় কিছুটা হলেও চাপ বাড়ছে বিজেপির অন্দরে। কিন্তু অজয় মিশ্র টেনি উত্তর প্রদেশের ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ মুখ। তাই ভোটের আগে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়কে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব চটাবে না বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Covid 19: ডেল্টাই গেম চেঞ্জার, করোনা সংক্রামণ রুখতে কৌশল পরিবর্তন প্রধানমন্ত্রীর
UP Violence: ৩৮ ঘণ্টা পরেও FIR Copy দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ প্রিয়াঙ্কার, কাল লাখিমপুরে যাচ্ছেন রাহুল
যদিও প্রথম থেকেই অজয় মিশ্র দাবি করেছে আসছেন তাঁর ছেলে একজন ব্যবসায়ী। আশিস মিশ্র রবিবার নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই কারণেই তিনি সেদিন লাখিমপুরে ছিলেন না। তবে তাঁর গাড়ি বিজেপি কর্মীরা নিয়ে গিয়েছিল। যদিও আন্দোলনকারী কৃষকদের পক্ষ থেকে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে সেখানে নাম রয়েছে অজয় মিশ্রর। পরিকল্পতি খুনের অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। আন্দোলনকারী কৃষকরাও দাবি করেছেন যে তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি কৃষকদের পিষে দিয়েছিল তার একটিতে চালকের আসনে ছিল আশিস মিশ্র।
রবিবার অজয় মিশ্র টেনির ডাকা একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল উত্তর প্রদেশ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বাতিলের দাবিতে সরব হয়েছিলেন কৃষকরা। কিন্তু বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে ফেরার পথেই কৃষকদের পিষে দেয় তিনটি এসইউভি। পাল্টা কৃষকরাও চড়াও হয়। পরপর তিনটি গাড়িতে আগুন জ্বালিয় দেয়। এই ঘটনায় চার কৃষকসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে বিজেপি কর্মীও রয়েছে।