
সারা দেশ এখন হিজাব বিতর্কে উত্তাল। কর্ণাটকের হিজাব নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় জারি করেছিল বৃহস্পতিবার তাতে খুব একটা খুশি হননি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। অনেকে আবার এও দাবি করছেন যে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সম্পূর্ণ কেন্দ্রের দ্বারা প্রভাবিত। এর মাঝেই আমিম এর প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির একটি বক্তব্য হিজাব-বিতর্কের সমালোচনার মোড় ঘুরিয়ে দিলো শুক্রবার। তিনি প্রকাশ্যে বলেন , "আমাদের মেয়েদের হিজাব পরতে দিন, আপনি চাইলে বিকিনি পরুন..."
সুপ্রিম কোর্টের এমন সিদ্ধান্তে সমাজের একাংশ একেবারেই খুশি ছিলেন না।দক্ষিণপন্থী মতাদর্শে যারা ভাবিত তারা প্রশাসনের শীর্ষে থেকে আইন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন এমন গুরুতর অভিযোগও ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই রায় লাগু হবার পর আমিমি প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি হিজাব অপসারণের এই রায়ের তীব্র নিন্দা করে বলেন , " মুসলিম মহিলারা যদি তাদের মাথা ঢাকতে চান, তার মানে এই নয়, তারা তাদের বুদ্ধি ঢেকে রাখছেন।আর যারা দাবি জানাচ্ছেন যে আমরা ছোট বাচ্চাদের হিজাব পড়তে বাধ্য করি। আমরা কি সত্যিই আমাদের মেয়েদের জোর করি ?" এই প্রসঙ্গ তুলে আমিম নেতা আরও বলেন যে হিজাব মুসলমানদের 'অনগ্রসরতা' দেখায় না।হিজাব পড়া মুসলমান মহিলারা কি দেশের উন্নয়নে অবদান রাখেন না ?
তিনি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন ,"আপনি যদি হায়দ্রাবাদে আসেন, আপনি দেখতে পাবেন যে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে কুখ্যাত ড্রাইভাররা আমাদের বোন" তারা হিজাবের উপরই হেলমেট পরে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে কথা বললেই আপনি বুঝতে পারবেন যে তাদের উপর জোর করা হচ্ছে কি না। "
কর্ণাটকের হিজাব নিষিদ্ধ করার কথা উল্লেখ করে ওয়াইসি বলেন, "যখন একজন হিন্দু, একজন শিখ এবং একজন খ্রিস্টান ছাত্রকে তাদের ধর্মীয় পোশাক পরে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় এবং একজন মুসলিমকে বাধা দেওয়া হয়, তখন তারা মুসলিম ছাত্র সম্পর্কে কী ভাবেন? স্পষ্টতই, তারা মনে করবে মুসলমানরা আমাদের নিচে।"
ভারতে হিজাব নিয়ে বিতর্কের মধ্যে, লোকসভার সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি রবিবার টুইট করেছেন, "একদিন হিজাব পরা মেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবে"।
আরও পড়ুনআরও বাড়ল অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা, দেশের যে কোনও জায়গায় Z+ সুরক্ষা পাবেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা
আরও পড়ুন শিবলিঙ্গের বৈজ্ঞানিক তদন্ত হয়নি, জ্ঞানবাপী নিয়ে হিন্দু পক্ষের আবেদন খারিজ বারানসী আদালতের