দুই জঙ্গির মধ্যে একজন লস্কর ই তইবা গ্রুপের সদস্য। সে পাকিস্তানের নাগরিক। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার চেয়ান দেবসার এলাকায় ঘেরাও করে অনুসন্ধান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী।
রবিবার অর্থাৎ ৮ই মে জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে দুই জঙ্গিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুই জঙ্গির মধ্যে একজন লস্কর ই তইবা গ্রুপের সদস্য। সে পাকিস্তানের নাগরিক। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার চেয়ান দেবসার এলাকায় ঘেরাও করে অনুসন্ধান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। জঙ্গিরা জওয়ানদের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় সেনাও। এই এনকাউন্টার শুরু হতেই দুই জঙ্গি মারা যায়।
পরে জম্মু কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার বলেন পাকিস্তানি জঙ্গি হায়দারকে নিকেশ করেছে সেনা। সে লস্কর ই তইবা জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিল। একজন স্থানীয় জঙ্গিকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। টুইটকরে এই তথ্য জানান বিজয় কুমার। কুমার আরও জানান যে হায়দার উত্তর কাশ্মীরে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয় ছিল এবং বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী অপরাধে জড়িত ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভোররাতে সংঘর্ষ শুরু হয়।
শুক্রবার অর্থাৎ ৬ই মে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পাহালগাম উডসের বাটকুট এলাকার পূর্বে সিরচান টপে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে তিনজন জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের এক পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ অবগত ছিল। নির্দিষ্ট ইনপুটের ভিত্তিতে, পুলিশের একটি যৌথ দল, সেনাবাহিনীর থ্রি আরআর এবং সিআরপিএফ একটি কর্ডন এবং অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে।
এদিকে, আসন্ন অমরনাথ যাত্রাকে সামনে রেখে পহেলগামের পাহাড়গুলিতে নতুন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সূত্র জানায় যে এলাকায় দুই থেকে চারজন জঙ্গির উপস্থিতি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অভিযান শেষ হলেই প্রকৃত সংখ্যা বলা যাবে। এদিকে চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালে সেনার হাতে নিকেশ হয়েছে ৬২ জন জঙ্গি। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে এই বছর এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু কাশ্মীরে মোট ৬২ জন জঙ্গিকে খতম করা গিয়েছে।
এই সমস্ত জঙ্গি নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারের সামনে খতম হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর-জেনারেল বিজয় কুমার বলেছেন, এই ৬২ জন জঙ্গির মধ্যে ৩৯জন লস্কর-ই-তৈবার, ১৫ জন জইশ-ই-মহম্মদের, ৬জন হিজবুল মুজাহিদিনের এবং দুজন আল-বদরের।
আরও পড়ুন, 'যাবজ্জীবন মানে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কারাবাস', খুনের মামলায় স্পষ্ট করল এলাহবাদ হাইকোর্ট