মিরাটের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেসকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, এই লোকসভা নির্বাচন হবে দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক ও তার শত্রুদের বিরুদ্ধে।
দিল্লির রামলীলা ময়দানে কেজরিওয়াল ইস্যুতে জড়ো হয়েছে বিরোধীরা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেরজিওয়ালের গ্রেফতারির বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে কিছুটা অক্সিজেন যখন পেতে চাইছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট, তখনই উত্তর প্রদেশের মিরাটের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন বিজেপি অপ্রতিরোধ্য। দুর্নীতিবাজদের রেয়াত করা হবে না।
মিরাটের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেসকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, এই লোকসভা নির্বাচন হবে দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক ও তার শত্রুদের বিরুদ্ধে। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, 'মোদীকে থামান যাবে না। প্রত্যেক দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' তিনি বলেন তাঁর লড়াই মূলত দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তিনি বলেও বলেন, কিছু নেতা তাতেই অসন্তোষ প্রকাশ করছে। দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও তারা জামিন পায়নি। সেই সব নেতারাই বর্তমানে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। তারা 'ইন্ডি জোট'এর ছত্রছায়ায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিন নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী তামিলনাড়ুর কাচাথিভু দ্বীপ ইস্যুটিতেও খুঁচিয়ে তোলেন। তিনি বলেন, 'কংগ্রেসের আরেকটি ভারত-বিরোধী আচরণ আজ উন্মোচিত হয়েছে৷ কাচাথিভু দ্বীপ, যা ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অবস্থিত ছিল। এটি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু স্বাধীনতার পরে কংগ্রেস এটি শ্রীলঙ্কাকে দিয়ে দিয়েছিল। এখন ভারতকে কংগ্রেস সরকারের এই অপকর্মের খেসারত দিতে হচ্ছে।'
Delhi liquor scam: ইডি অফিসে টানা পাঁচ ঘণ্টা জেরা কেজরিওয়ালের মন্ত্রী কৈলাস গেহলটকে, কী বললেন তিনি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন ২০১৪ ও ২০১৯ সালেই মিরাট তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেইসময়ও মিরাট থেকে প্রচার শুরু করেছিলেন। তিনি বলনে, এই লোকসভা নির্বাচন শুধুমাত্র একটি সরকারের জন্য নয়। এটি বিকশিত ভারত তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ১০ বছরে তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য যা করেছিলেন তা একটি ট্রেলার মাত্র। আগামী দিনে ভারত পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলেও বলেও আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন তাঁর আমসে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে।