স্ত্রীর হাত খরচে অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিল স্বামী। আর পারছিল না। তাই স্ত্রীকে খুনের ছক কষেছিল। নিখুঁত পরিকল্পনা করে স্ত্রীকে খুনের সুপারি দিয়েছিল দুই বন্ধুকে। কিন্তু শেষরক্ষা হল কি! কারণ গোটা ব্যাপারটাই তারা গাড়ি দুর্ঘটনার রূপ দিতে চেয়েছিল। তাবে তদন্তে সেই রহস্যের পর্দাফাঁস হয়।
গত ১৩ অগাস্ট মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে একটি গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় দুর্গাবতী নামে এক মহিলার। তদন্তে নেমে রীতিমত হাড়হিম করা তথ্য আসে পুলিশের কাছে। তাতে পুলিশের দাবি গোটা ব্যাপারটাকেই দুর্ঘটনার রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাতে কিছুটা সফলও হয়েছিল। কিন্তু দুর্ঘটনার ১০ দিন পরেই রহস্যের পর্দাফাঁস হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ,দুর্গাবতী হেমন্তের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। দুর্গাবতীর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই হেমন্তের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে অন্যত্র বিয়ে হয় দুর্গাবতীর। অন্য দিকে, হেমন্তও ২০২২ সালে বিয়ে করেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক চলছিলই।
২০২৩ সালে স্বামীকে ছেড়ে তাঁর পুরনো প্রেমের টানে চলে আসেন দুর্গাবতী। হেমন্তকে বিয়েও করেন। কিন্তু বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই দুর্গাবতী আর হেমন্তের সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে। জেরায় হেমন্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই দুর্গাবতীর হাতখরচ বেড়ে চলেছিল। সেই টাকা দিতে তিনি হিমশিম খাচ্ছিলেন। হতাশা এবং ক্ষোভে দুর্গাবতীকে খুন করার পরিকল্পনা করেন হেমন্ত।
সেইমত পরিকল্পনা করেন। স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা দেন নিজেরবন্ধুকে। সেই মত তাদের আড়াই লক্ষ টাকাও দিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার দিন দুর্গাবতী তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে একটি বাইকে করে মন্দিরে যাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি এসইউভি তাদের ধাক্কা মারে। সেই এসইউভিতে ছিল হেমন্ত বন্ধু। গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন, পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
পুলিশের প্রথম সন্দেহ হয় হেমন্তের অভিযোগে। কারণ স্ত্রীর মৃত্যুতে হেমন্ত অজ্ঞাত পরিচয় গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। গাড়ির সন্ধানে নেমেই পুলিশ জানতে পারে গাড়িতে হেমন্তের বন্ধুর। তাতেই পুলিশের সন্দেহ। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল সত্য সামনে আসে।