সংক্ষিপ্ত

  • পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০০ ছাড়াল
  • সিন্ধ প্রদেশে একসঙ্গে সংক্রমণের শিকার ৪২৯ জন
  • আক্রান্তরা সকলেই তবলিগি জামাতের সদস্য
  • পঞ্জাব প্রদেশের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন সকলে

গোটা দুনিয়ায় করোনাভাইরাস ত্রাস সৃষ্টি করেছে। মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পায়নি পাকিস্তানও। দেশটিতে রোজই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২৭ জনরে শরীরে নতুন করে সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। আর তার জেরেই দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে।

কেবল আক্রান্ত নয়, ভারতের প্রতিবেশী দেশটিতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। ফলে পাকিস্তানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৪। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে ইমরান সরকারের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে তবলিগিরা। দেশটিতে একসঙ্গে ৪২৯ জন তবলিগি জামাতে অংশগ্রহণকারীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।

মোদীর পর এবার ইমরানের দিকে সাহায্যের হাত, পাকিস্তানকে ৮.৪ মিলিয়ন ডলার দিলেন ট্রাম্প

গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪ হাজার, আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষের বেশি

ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্দরেও এবার করোনার থাবা, একসঙ্গে আক্রান্ত কমপক্ষে ২০ জন আধিকারিক

গত মার্চ মাসে ভারতের রাজধানী দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিগি জামাতের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ এসেছিলেন। পরবর্তীকালে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ায় তাঁদের থেকে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এমন দাবি উঠেছে নানা মহলে। ভারতের মত পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের রাইওয়ান্ডেও আয়োজন করা হয়েছিল একই রকম এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের। সেখানে অংশ নেওয়া ৪২৯ জন তবলিগি জামাতের সদস্য এখন করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আক্রান্তরা সকলেই সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলী শাহ। 

সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেই কারণে আক্রান্তদের সকলকেই আইসোলেশনে পাঠান হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সিন্ধের মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলী শাহ বলেন, " প্রদেশে তবলিগি জমাতে অংশ নেওয়া সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪,৬৯২, তারমধ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪.৬৫৩ জনের। " 

পাকিস্তানে করোনা আক্রান্ত প্রদেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পঞ্জাবের। এখনও পর্যন্ত এখানে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দেশের প্রায় অর্দ্ধেক। পঞ্জাবে আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৩০০ ছাড়িয়েছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই তবলিগি।  ভারতের মত পাকিস্তানেও করোনা আক্রান্তদের একটা বড় অংশ তবলিগি সদস্য। এছাড়া মালয়েশিয়া এবং ব্রুনেই তেও তবলিগিদের থেকেই করোনা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।