Maoist Killed: গাড়চিরোলির জঙ্গলে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই, নিহত ২৬ মাওবাদী

এখনও পর্যন্ত ২৬ জন মাওবাদীর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালের মধ্যেই মৃত মাওবাদীদের শনাক্ত করা হবে। 

Saborni Mitra | Published : Nov 13, 2021 4:33 PM IST / Updated: Nov 13 2021, 11:06 PM IST

মহারাষ্ট্রের গাড়চিরোলি (Gadchiroli) জেলার ইতিহাসে এটাই দ্বিতীয় বৃহত্তম এনকাউন্টার। পুলিশ জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শনিবার কমপক্ষে ২৬ জন মাওবাদী বা নকশাল নেতা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে  (26 Maoist Killed)। গাড়চিরোলি জেলার ঘন জঙ্গলে পুলিশের সঙ্গে মাওবাদীদের ব্যপক সংঘর্ষ (Encounter) হয়। এই এনকাউন্টারে চার পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসার জন্য নাগপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে শনিবার এনকাউন্টারে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন রবীন্দ্র নাইতাম, সর্বেশ্বর আক্রম, মহারু কুদমেথে ও টিকারাম কাটাঙ্গে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২৬ জন মাওবাদীর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালের মধ্যেই মৃত মাওবাদীদের শনাক্ত করা হবে। এই এনকাউন্টারটি ছিল গাড়চিরোলি  ইতিহাসে দীর্ঘতম এনকাউন্টার। সকাল ৬টায় শুরু হয়েছিল। এনকাউন্টার শেষ হয়ে বিকেল ৪টের পরে। 

Cryptocurrency: প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, পথ খুঁজতে আলোচনা

পুলিশ জানিয়েছে এই এনকাউন্টারে গাড়চিরোলি পুলিশের ১০০ জন C-60 কমান্ডো অংশ নিয়েছিল। মোট ১৬টি দলে ভাগ হয়ে এই অভিযান চালান হয়। এক জন কমান্ডো হলেও এদের মোট শক্তি ৫০০ জনের তুলনায় অনেক বেশি। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই পুলিশ জঙ্গলে হানা দেয়। সূত্রের খবর পুলিশ আগে থেকেই জানতে পেরেছিল মাওবাদীদের একটি দল জঙ্গলে গোপনে ক্যাম্প করছে। এই ক্যাম্প থাকার কথা ছিল সিপিআই মাওবাদী-র গাড়চিরোলির ডিভিশনাল কমিটির সদস্য সুখলাল। দলের কোর্টিদলম-এর সদস্যরাও এই ক্যাম্পে অংশ নিয়েছিল বলেও সূত্রের খবর। এনকাউন্টার শেষে পুলিশের অনুমান, এই ক্যাম্পে বেশ কয়েকজন বাইরের সদস্যই ছিল। তাই এনকাউন্টার শেষ হতে বেশি সময় লেগেছিল। মাওবাদীরাও পুলিশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। গুলি আর পাল্টা গুলির যুদ্ধে কেঁপে উঠেছিল জঙ্গল ও জঙ্গল লাগোয়া এলাকা। 

Manipur Terrorist Attack: মণিপুর-মায়ানমার সীমান্ত কড়া নজরদারি, ৪ কিলোমিটার ঢুকে সেনা কনভয়ে হামলা বলে অনুমান

এর আগে ২৩ এপ্রিল ২০১৮ সালে গাড়চিরোলিতে দুটি পৃথক সংঘর্ষে ৪০ জন মাওবাদীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ইচাপাল্লি তহলিসের বোরিয়া কাসনাসুর এলাকায় ৩৪ জনন নিহত হয়। আহেরি তহসিলে পালিয়ে যাওয়ার সময় এই একই দলেরই আরও ৬ জনরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। 

Delhi Pollution: দূষণ মোকাবিলায় কি লকডাউন, দিল্লি ও কেন্দ্র সরকারের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

শনিবারের এনকাউন্টারে নিহতদের মধ্যে সিপিআই (মাওবাদী ) র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিলিন্দ তেলতুম্বে রয়েছে বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু পুলিশ এই বিষয়ে এখনও কিছু নিশ্চিত করেনি। তবে মিলিন্দ তেলমুম্বে মৃতদের মধ্যে রয়েছে কিনা তা জানতে পুলিশ মিলিন্দে দেহরক্ষীকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গেছে। এই দেহরক্ষী কয়েক দিন আগেই আত্মসমর্পণ করেছিল। 

Share this article
click me!