মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার ওই কমিটি মূল দুই অভিযোগকারী অর্থাৎ নিশিকান্ত দুবে এবং জয় অনন্ত দেহদরাইয়ের বয়ান রেকর্ড করেছে। তাঁদের বয়ান শোনার পরই মহুয়াকে তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ফের তলব করল লোকসভার এথিক্স কমিটি। নগদের বেনিয়ম প্রশ্ন ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে তলব করা হল। এর আগে ৩১ অক্টোবর এথিক্স কমিটি তলব করে কৃষ্ণনগরের সাংসদকে। কিন্তু ওই দিন তিনি সংসদে হাজির হবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে হাজিরা দেওয়ার জন্য বেশ কিছুটা সময় চেয়ে নেন তিনি। তবে মহুয়ার চাওয়া সেই সময়ের আগেই তাঁকে আবার তলব করা হয়েছে। আগামী ২ নভেম্বর সকাল ১১টায় মহুয়াকে সংসদের এথিক্স কমিটির ঘরে হাজিরা দিতে হবে।
তৃণমূল সাংসদের চিঠির বয়ান
তৃণমূল সাংসদ চিঠিতে এথিক্স কমিটিকে লিখেছিলেন, ৫ নভেম্বরের পর তাঁকে কমিটির সুবিধা অনুযায়ী যে কোনও দিন, যে কোনও সময় ডাকা হলে তিনি হাজির হবেন। ওই চিঠিতে মহুয়া এ-ও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য কমিটির সামনে বলতে আগ্রহী। তবে ৩০ অক্টোবর থেকে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় বিজয়া সম্মেলন রয়েছে। সেগুলি সব আগে থেকে ঠিক করা। তাঁকে সেখানে উপস্থিত থাকতেই হবে। তাই তিনি ৩১ তারিখ দিল্লিতে থাকতে পারছেন না।
মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার ওই কমিটি মূল দুই অভিযোগকারী অর্থাৎ নিশিকান্ত দুবে এবং জয় অনন্ত দেহদরাইয়ের বয়ান রেকর্ড করেছে। তাঁদের বয়ান শোনার পরই মহুয়াকে তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মহুয়ার বক্তব্য
এদিকে, মহুয়া বলেন, ‘‘আমি এখনও হাতে তলবের চিঠি পাইনি। তবে আমি তো এথিক্স কমিটিকে আগেই চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, ৫ তারিখ পর্যন্ত আমার পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। তার পরে আমাকে ডাকা হোক।’’ এরই সঙ্গে মহুয়া নিজের চিঠিতে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছিলেন। লিখেছিলেন, রমেশ রাজস্থানে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে পূর্বপরিকল্পিত কর্মসূচির কথা জানিয়ে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটির কাছে সময় চেয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে মঞ্জুরও করা হয়েছিল। মহুয়ার আবেদন, একই ভাবে তাঁকেও যেন সময় মঞ্জুর করা হয়। তারপরেও কেন কমিটি তাঁর আবেদন গ্রাহ্য করল না, তা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ তৃণমূল সাংসদ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন নীচের লিংকে