সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস অসম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের মত উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। আর সেই কারণে গত বছর ডিসেম্বরের শেষের দিকে তিনি মেঘালয়ে গিয়েছিলেন।
তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের চাঙ্গা করতে আগামী ১৮ জানুয়ারী অর্থাৎ বুধবার মেঘালয় যাবের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছর এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগেই দলে ভাঙন শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে আগামী আবারও উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য সফর করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৮ জানুয়ারি তিনি মেন্দিপাথর জেলায় একটি জনসভা করবেন বলেও রবিবার দলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই সফরে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন।
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস অসম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের মত উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। আর সেই কারণে গত বছর ডিসেম্বরের শেষের দিকে তিনি মেঘালয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময়ও তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগের সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন ভোটে জিতে মেঘালয়ে সরকার গঠন করতে পারে তিনি ওই রাজ্যও লক্ষ্মীর ভান্ডারের মত প্রকল্প চালু করবেন। সেই প্রকল্পের একটি বর্ননাও দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি ধসে দার্জিলিং-এ মৃতে মেঘালয়ের বাসিন্দাদের পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের হাতে ক্ষতিপুরণের টাকাও তুলে দিয়েছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর ১৬ জানুয়ারি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফর শুরু করছেন। সোমবার সাগরদিঘিতে সভা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।সেখান থেকেই তিনি ১৭ জানুয়ারি যাচ্ছেন আলিপুরদুয়ারে। আলিপুরদুয়ার থেকেই মমতা যাবেন মেঘালয়। তুরা কেন্দ্রে জনসভা রয়েছে মমতার। মেঘালয় থেকে আলিপুরদুয়ারে ফিরবেন মমতা,১৯ জানুয়ারি সেখানে রয়েছে প্রশাসনিক কর্মসূচি। তারপর ফিরবে কলকাতায়।
তৃণমূল সূত্রের খবর এই সফর থেকেই মেঘালয়তে ভোট প্রচার শুরু করে দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভার জন্য ইতিমধ্যেই ৫২টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। স্থানীয় ভাষায় গান তৈরি করে ভোট প্রচারের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক দল বদলের আগে দল ও বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেন। উত্তর গারো পার্বত্য জেলার মেন্দিপাথআরের বিধায়ক মার্থন সাংমা ও পশ্চিম গারো পার্বত্য জেলার টিকরিকিল্লার জনপ্রতিনিধি জিমি ডি সাংমা দল বদল করে শাসক শিবিরে চলে যান। দুজনেই কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে গত বিধানসভা নির্বাচনে জয় লাভ করেছিলেন। গতবছর রাজ্যের এক ডজন বিধায়কের সঙ্গে তাঁরাও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তাতে রাতারাতি বিরোধী দলের তকমা কংগ্রেসের হাত থেকে চলে যায় তৃণমূলের হাতে। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূলের ভাঙন শুরু হয়েছে। ডিসেম্বর মাসেই মৌসিনরামের তৃণমূল বিধায়ক হিমালয় এম শাংপ্লিয়াং বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আরও দুই বিধায়ক তৃণমূল ছেড়েছে। ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভায় তৃণমূলের দখলে রয়েছে মাত্র ৯টি আসন।
আরও পড়ুনঃ
বগটুই গণহত্যায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ, দুই সিবিআই অফিসার-সহ সাসপেন্ড ৪
অগ্নিবীরদের প্রথম ব্যাচের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সঙ্গে ছিলেন রাজনাথ সিং
সোমবার মুর্শিদাবাদে ঝটিকা সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগের উদ্যোগ