সংক্ষিপ্ত
- কেএলও-র হুমকি পোস্টার পড়ল চোপড়ায়
- রাজবংশীদের উপর তৃণমূলের অত্যাচার বন্ধের দাবিতে পোস্টার
- অত্যাচার বন্ধ না হলে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি
- চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়
উত্তর দিনাজপুরে চোপড়ায় দেখা গেল নিষিদ্ধ সংগঠন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (কেএলও) হুমকি পোস্টার। চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় এই পোস্টারের দেখা গিয়েছে। পোস্টারে কামতাপুরি ভাষায় লেখা, "চোপড়া ভূমিপুত্র রাজবংশীদের উপর যদি তৃণমূলের অত্যাচার বন্ধ হয় তাহলে আমরা আছি (কেএলও)"।
আরও পড়ুন- 'সাবাশ মমতা', বিনামূল্যের টিকা পেতে বাংলায় দিতে হচ্ছে টাকা - তীব্র কটাক্ষ বিজেপির
রবিবার সকালে চোপড়ার বেশ কয়েকটি এলাকায় কেএলও-র নামে এই ধরনের পোস্টার লক্ষ্য করা গিয়েছে। গ্রামের বাসস্ট্যান্ড ও লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় পোস্টারগুলি দেখা যায়। সাদা কাগজে কম্পিউটার প্রিন্টারে ছাপানো হয়েছে পোস্টারগুলি। এদিকে এই পোস্টারকে কেন্দ্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ওই এলাকায় কেএলও-র অস্তিত্ব রয়েছে জেনে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও কে বা কারা এই পোস্টার সাঁটল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
একুশের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই বিভিন্ন জায়গায় রাজবংশীদের উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দৃষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তার প্রেক্ষিতেই এই পোস্টার লাগানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর আগে কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতেও এই ধরনের পোস্টার পড়েছিল। দিন কয়েক আগে কেএলও-র একটি বিবৃতি প্রকাশ্যে আসে। তাতে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতীম রায় ও প্রাক্তন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। চিঠিতে দাবি করা হয়, ভোটের পর কোচবিহারের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে তৃণমূল। কলকাতায় গিয়ে তারা যা করেছেন সেজন্য চরম পরিণতি ভুগতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, কলকাতায় গিয়ে আলাদা উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবির বিরোধিতা করেছিলেন পার্থপ্রতীমবাবু। তার জেরেই হুমকি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- গঙ্গায় ভাসছে লাশ, করোনা রোগীর পচা-গলা দেহ ভেসে এল রাজ্যে
এদিকে ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে কেএলও প্রধান জীবন সিংহের একটি ভিডিও। সেখানে পুরোপুরি সুস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। উত্তরপূর্ব বা মায়ানমারের কোনও গোপন ডেরায় ওই ভিডিও তোলা হয়েছে বলেছে অনুমান পুলিশের। আর তারপরই চোপড়ার এই হুমকি পোস্টারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।