১৫ বছর আগে বনজাক্ষীর (৩১) সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পেশায় ট্যাক্সি চালক অশোকের। তাঁদের তিন সন্তানও রয়েছে। আর বনজাক্ষী একটি পোশাকের ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। এদিকে বাড়িতে ফেরার পরই তিনি ব্যস্ত হয়ে যেতেন ফোন নিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছিল রবিবার রাতে।
বাড়িতে ফেরার পরই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন স্ত্রী। কোনও দিকেই খেয়াল থাকত না। এমনকী, স্বামীকেও গুরুত্ব দিতেন না বলে অভিযোগ। আর এই ফোন নিয়ে মাঝে মধ্যেই তাঁদের মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকত। কিন্তু, তাতেও বিশেষ গুরুত্ব দিতেন না স্ত্রী। সেই কারণেই রাগের মাথায় শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠল ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অশো নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের মাইসোর জেলার কাবেরীপুরা গ্রামে।
১৫ বছর আগে বনজাক্ষীর (৩১) সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পেশায় ট্যাক্সি চালক অশোকের। তাঁদের তিন সন্তানও রয়েছে। আর বনজাক্ষী একটি পোশাকের ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। এদিকে বাড়িতে ফেরার পরই তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়তেন ফোন নিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছিল রবিবার রাতে। অশোকের আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন বনজাক্ষী। এরপরই তিনি নিজের মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কখন অশোক বাড়ি ফিরেছে তা তিনি খেয়ালই করেননি। এদিকে অশোক বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে মোবাইলে ব্যস্ত থাকতে দেখে খুবই রেগে যান। শুরু হয় ঝগড়া। অভিযোগ, রাগের মাথায় স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করেন অশোক। পাল্টা স্বামীকে মারার জন্য রান্নাঘর থেকে লাঠি নিয়ে যান বনজাক্ষী। এরপর আবারও স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেন অশোক। চড় মেরে স্ত্রীকে মাটিতে ফেলে দেন তিনি। সেই সময় রাগে রীতিমতো ফুঁসছিলেন তিনি। এরপর কোনও চিন্তাভাবনা না করেই স্ত্রীকে মাটিতে ফেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- 'নিজেকে সচিন-অমিতাভের মতো লাগছে', ‘খাস দোস্ত’ মোদীকে ধন্যবাদ বরিস জনসনের
এদিকে স্ত্রীকে হত্যা করার পরই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান অশোক। তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পাশাপাশি বনজাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা। যার কারণে ফোনে না পেয়ে বুধবার বনজাক্ষীর বাড়িতে যান তাঁর ভাই। বাড়িতে ঢুকতে গিয়েই দুর্গন্ধ পান তিনি। সন্দেহ হওয়ায় ঘরে ঢুকে দেখেন ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে রনজাক্ষীর নিথর দেহ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে বনজাক্ষীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তা পাঠায়। পরে অনেক তল্লাশির পর অশোককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন- ভারতকে ঠকিয়ে পালিয়ে যাওয়া অপরাধীদের ব্রিটেনে কোনও জায়গা নেই-বরিস জনসন
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বনজাক্ষীকে সন্দেহ করতেন অশোক। পোশাকের ফ্যাক্টরিতে স্ত্রীর সঙ্গে কারও সম্পর্ক ছিল বলে তিনি সন্দেহ করতেন। তাই নিয়ে তাঁদের মাঝে মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকত। তার জেরেই স্ত্রীকে তিনি হত্যা করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, 'বাংলা বুলডোজারে নয়, ঐক্যে বিশ্বাস রাখে', বাণিজ্য সম্মেলনে কাকে নিশানা মমতার