সংক্ষিপ্ত
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এদিন মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্ট এবং যুক্তরাজ্যের চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন।
দুদিনের ভারত সফরে ব্রিটেন-নয়াদিল্লি সম্পর্কের মজবুতিতে জোর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। এরই সঙ্গে আশ্বাস দিলেন ভারতে আইন ও শাস্তি এড়ানোর জন্য যুক্তরাজ্যের আইনী ব্যবস্থা ব্যবহার করতে চায় এমন পলাতক ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে কখনই স্বাগত জানানো হবে না। শুক্রবার এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বরিস জনসন মূলত টার্গেট করেন বিজয় মালিয়া ও নীরব মোদীর মতো ঋণখেলাপি শিল্পপতিদের।
ঋণখেলাপি পলাতক নীরব মোদী এবং বিজয় মালিয়ার প্রত্যর্পণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে, জনসন বলেন, “আইনি প্রযুক্তির ব্যবহার ও কিছু আইন এই বিষয়টিকে জটিল করে তুলেছে। তবে ব্রিটেন সবরকম দিক খতিয়ে দেখে চেষ্টা চালাচ্ছে এর বাস্তবায়নের। ইতিমধ্যেই তাদের প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। আমরা এমন লোকদের স্বাগত জানাই না যারা এখানে ভারতে আইন এড়াতে আমাদের আইনি ব্যবস্থা ব্যবহার করতে চায়।”
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এদিন মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্ট এবং যুক্তরাজ্যের চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন “আমাদের দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গি যে আমরা চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে সহ্য করি না যারা অন্য দেশকে হুমকি দেয়, ভারতকে হুমকি দেয়। আমরা ভারতকে সাহায্য করার জন্য একটি চরমপন্থী বিরোধী টাস্ক ফোর্স গঠন করেছি,”
এদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য থেকে ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করা খালিস্তানি গোষ্ঠী সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন। ভারত সম্পর্কে বরিস জনসন বলেন এই দেশের সাংবিধানিক সুরক্ষা রয়েছে ও এখানে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত। ভারতে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক সুরক্ষা রয়েছে, যা বিশ্বে নজির তৈরি করেছে।
বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এদিন নিজের খাস দোস্ত বলে উল্লেখ করেন। ভারতে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে তিনি নিজেকে শচিন তেন্ডুলকরের মত অনুভব করছেন বলেও এদিন জানান জনসন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করা হয়ে গিয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই ভারত সফরকে ঐতিহাসিক বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য থেকে প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নতুন করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তি বদ্ধ হতে চায় ভারত।
উল্লেখ্য, ভারত সফরের প্রথম দিনে গুজরাটে মহাত্মা গান্ধীর জন্মভূমিতে পা রেখেই ভারতের জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বরিস জনসন। মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে নিজের হাতে চরকা কাটতে দেখা যায় তাঁকে। এর পাশাপাশি সেখানে থাকা ভিসিটরস বুক-এ বিশেষ বার্তা লিখেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
আরও পড়ুন, গুজরাটের কংগ্রেস বিধায়ক জিগনেশ মেভানিকে গ্রেফতার করল অসম পুলিশ, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা
আরও পড়ুন, 'বাংলা বুলডোজারে নয়, ঐক্যে বিশ্বাস রাখে', বাণিজ্য সম্মেলনে কাকে নিশানা মমতার