বিজেপি সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই কয়েকজন বিজেপি নেতা পদত্যাগ করেছেন। তবে সংখ্যাটা ঠিক কত তা স্পষ্ট নয়। কংগ্রেস থেকে যাঁরা টিকিটের আসায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই টিকিট পাননি। তারাও বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা (Candidate List) ঘোষণা হতেই উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। এদিন ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভার (Manipur Assembly) জন্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি (BJP)। ৬০টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করছে গেরুয়া শিবির। ভোটের আগে জোট ভেঙে একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। তা আবশ্য প্রার্থী তালিকা থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও বন্ধ করা গেল না অশান্তি। কারণ প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই বিজেপি নেতা কর্মীরা দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ। মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের চারপাশে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনের (Manipur Election 2022) টিকিট না পেয়েই একাধিক নেতা ও কর্মীর বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেণ সিং-এর কুশপুতুল দাহ করে দলীয় কর্মী সমর্থকরা। রাজ্যের একাধিক স্থানে বিজেপির পার্টি অফিসেও ভাঙচুর চালান হয়। বিক্ষোভকারীরা প্লাকার্ড নিয়ে দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে।
বিজেপি সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই কয়েকজন বিজেপি নেতা পদত্যাগ করেছেন। তবে সংখ্যাটা ঠিক কত তা স্পষ্ট নয়। কংগ্রেস থেকে যাঁরা টিকিটের আসায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই টিকিট পাননি। তারাও বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল ১৬ জন বিধায়ক। তাদের মধ্যে ১০ জনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বিজেপির প্রার্থী তালিকায় বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেণ সিং তাঁর পুরনো কেন্দ্র হেইনগ্যাং থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
২০১৭ সালে মণিপুর বিধানসভা ভোটে বিজেপি ১৭টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের ছোট ও আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতা দখল করেছিল। তবে এবার আর জোট করা হয়নি। ৬০ আসনেরই প্রার্থী কালিকা প্রকাশ করেছিল বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে ভূপেন্দ্র যাদব জানিয়েছিলেন যারা দীর্ঘ দিন ধরে বিজেপির সঙ্গে কাজ করছে তাদেরই টিকিট দেওয়া হয়েছে। আগামী দিয়ে বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।