মণিপুরের মুখ্যসচিব বিনীত যোশি অসম রাইফেলসের কাছ থেকে মায়ানমারের অনুপ্রবেশকারী নাগরিকদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যে চেয়েছ। মায়ানমারের ওই নাগরিকরা চান্দেল জেলা দিয়ে এই দেশে প্রবেশ করেছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুরের সামনে নতুন বিপদ। মায়ানমারের ৭১৮ জন নাগরিক অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে মণিপুরে প্রবেশ করেছে। গত সপ্তাহেই এই ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছে। স্বারাষ্ট্র দফত একটি বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে। তবে এই বিষয়ে অসম রাইফেলসের থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর মায়ানমারের অনুপ্রবেশকারীদের দলে রয়েছে ৩০১ জন শিশু ও ২০৮ জন মহিলা। কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্র মন্ত্রক জানতে চেয়েছে কী করে প্রয়োজনীয় ভ্রমণের নথি ছাড়া মায়ানমারের ওই নাগরিকরা এই দেশে প্রবেশ করল।
মণিপুরের মুখ্যসচিব বিনীত যোশি অসম রাইফেলসের কাছ থেকে মায়ানমারের অনুপ্রবেশকারী নাগরিকদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যে চেয়েছ। মায়ানমারের ওই নাগরিকরা চান্দেল জেলা দিয়ে এই দেশে প্রবেশ করেছে বলেও মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে আধা সামরিক বাহিনীকেও অবগত করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর মায়ানমারের নাগরিকদের সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পরই যাতে পত্রপাঠ মায়ানমার পাঠান যায় তার ব্যবস্থা করতেও পরিমর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকার। মণিপুর সরকার চান্দেল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপাররকে গোটা বিষয় নিয়ে তদারকি করার নির্দেশ দিয়েছে। এলাকার সমস্ত ব্যক্তিদের ছবি ও বায়োমেট্রিক্স ও ছবি সংগ্রহ করে রাখারও পরামর্শ দিয়েছে।
মণিপুরের মুখ্যসচিব বিনীত যোশি বলেছেন, রাজ্য সরকার আগেই অসম রাইফেলসকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল গোটা বিষয়। কারণ সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব এই বাহিনীর হাতে। তাই ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে বৈধ ভিসাও ভ্রমণের নথি ছাড়া যে কোনও মায়ানমারের নাগরিকদের মণিপুরে প্রবেশ বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার ৭১৮ জন শরণার্থির নতুন অবৈধ প্রবেশকে অত্যান্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলেও জানিয়েছে মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দফতর। মণিপুর সরকার জানিয়েছে, বিষয়টি সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তারণ এই বিষয়ের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। বর্তমানে মণিপুরের এমনিতেও একাধিক সমস্যা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
মণিপুর সরকার সূত্রের খবর গত ২২ ও ২৩ জুলাই দুটি দলে ভাগ হয়ে মায়ানমারের ৭১৮ জন অনুপ্রবেশকারী এই দেশে প্রবেশ করেছে। ২৩ জুলাই অসম রাইফেলসের লেফটেন্যান্ট ভেঙ্কটা রবি কিরণ জে শরণার্থীদের প্রবেশের কথা জানিয়ে চান্দেলের জেলা শাসককে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মায়ারমারের খাম্পাতে সংঘর্ষ চলছে, সেই কারণে ৭১৮ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এই দেশের চান্দে ল জেলার নিউ লাজাং সাধারণ এলাকায় ঢুকে পড়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের যৌথভাবে যাচাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণে জেলা শাসকের কাছে প্রতিনিধি পাঠানোর আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ
Manipur Violence: মণিপুরের হিংসা বন্ধ করতে কুকি-মেইতিদের মধ্যে সুসম্পর্কের প্রয়োজন: পল্লব ভট্টাচার্য
কেন লুক-আউট নোটিশ? অভিষেকের বিদেশ ভ্রমণ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের সামনে ED