সংক্ষিপ্ত
মণিপুর সফরে রয়েছে দিল্লির মহিলা কমিশান স্বাতী মালিওয়াল। মণিপুর সরকার তাঁকে সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ। তিনি নির্যাতিতাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
মণিপুরের যে দুই মহিলাকে নগ্ন অবস্থায় রাস্তা দিয়ে জোর করে হাঁটান হয়েছিল তারা এখনও আতঙ্কে রয়েছে। ভয়ঙ্কর সেই সময় থেকে তারা এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি। নির্যাতিতা মহিলাদের রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষতিপুরণ দেয়নি। তাদের আইনি সাহায্য়ের জন্য কোনও পরামর্শও দেয়নি মণিপুর সরকার। দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান নির্যাতিতা দুই জনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পরই এই কথা জানিয়েছেন। তিনি হিংসার ঘটনায় মণিপুর সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন।
বর্তমানে মণিপুর সফরে রয়েছে দিল্লির মহিলা কমিশান স্বাতী মালিওয়াল। রবিবারই তিনি পৌঁছে গিয়েছিল মণিপুরে। তিনি জানিয়েছেন, মণিপুর প্রশাসন তাঁর সঙ্গে কোনও রকম সহযোগিতা করেননি। তিনি আরও বলেছেন নির্যাতিতা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন।
স্বাতী মালিওয়াল ও মহিলা কমিশনের সদস্য বন্দনা সিং মণিপুরের চুরাচাঁদপুরে গিয়েছিল। সেখানেই ঘটেছিল মহিলাদের বিবস্ত্র করে রাস্তা দিয়ে প্যারেড করানোর মত জঘন্য ঘটনা। তাঁরা নির্যাতিতা মহিলার মা ও স্বামীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন চুরাচাঁদপুরের পাশাপাশি তাঁরা মাইরাং, ইম্ফল জেলাতেও গিয়েছিলেন। ঘুরে দেখেছেন একাধিক ত্রাণশিবির। হিংসায় যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন স্বাতী মালিওয়াল ও তার সঙ্গী বন্দনা।
দিল্লির মহিলা কমিশনের অভিযোগ মণিপুর সরকার স্বাতী মালিওয়ালকে নির্যাতিতা ও তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সহযোগিতা করেনি। তিনি নিজে থেকেই নির্যাতিতাতের খোঁজখরব করে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। মালিওয়াল জানিয়েছেন ভিডিওতে যে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখা গিয়েছিল তাদের একজন আবার গণধর্ষণের স্বীকার। মালিওয়াল জানিয়েছেন যে মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল তাঁর মা, স্বামী আর ভাইতে উন্মত্ত জনতা আক্রমণ করে। ভাইয়ের মৃত্যু হয়। মালিওয়াল জানিয়েছেন, ধর্ষিতা মহিলার স্বামী ভারতীয় সেনা বাহিনীর সদস্য ছিলেন। কার্গিল যুদ্ধে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। স্ত্রীর সম্মান রক্ষা করতে না পেরে আজ তিনি বড়ই হতাশ বলেও জানিয়েছেন মালিওয়াল।
সিঙ্গাপুরে বসে সরকার ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে, নাম না করে বিরোধীদের টার্গেট ডিকে শিবকুমারের
স্বাতী মালিওয়ালের অভিযোগ শুধু নির্যাতিতা নয় তাদের গোটা পরিবারই ট্রামায় আক্রান্ত। ভয়ঙ্কর স্মৃতি তাদের কুরে কুরে খাচ্ছে। সরকার এখনও পর্যন্ত হিংসায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ায়নি। তাদের কোনও রকমক্ষতিপুরণ দেয়নি।
Manipur Violence: মণিপুরের হিংসা বন্ধ করতে কুকি-মেইতিদের মধ্যে সুসম্পর্কের প্রয়োজন: পল্লব ভট্টাচার্য
স্বাতী মালিওয়াল জানিয়েছেন, সরকার চুরাচাঁদপুর যাওয়ার ব্যাপারে তাঁকে সহযোগিতা করেনি। স্থানীয়দের উদ্যোগেই তিনি হিংসায় বিধ্বস্ত এলাকায় পৌঁছেছিলেন । সেখানেই নির্যাতিতাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। কোনও রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা তাঁর ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, মণিপুরের পরিস্থিতি বড়ই উদ্বেগজনক। যেখানেই তিনি যাচ্ছে সেখানেই আতঙ্কর আর ভয়ের বাতাবরণ দেখতে পেয়েছেন। তিনি বলেন রাজ্যের এমন অবস্থা যে মুখ্যমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিৎ। তিনি আরও বলেছেন, মণিপুরের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে যাওয়া উচিৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর কেন্দ্রীয় শিশু ও মহিলা কণ্যানমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির।