সোমবার থেকে তিন দিনের মণিপুর সফর অমিত শাহের। তার আগেই রবিবার ৪০ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যা করল সেনা।
অমিত শাহের মণিপুর সফরের আগে আবারও রক্তাক্ত পাহাড়ি সুন্দর রাজ্যটি। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ররিবার জানিয়েছেন, জাতিগত দাঙ্গায় জর্জরিত উত্তর পূর্বের রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য অভিযান শুরু করা হয়েছে। সেই সময়ই এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ৪০ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এই ৪০ জনই স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া ও সাধারণ মানুষদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় যুক্ত ছিল। সোমবার তিন দিনের সফরে মণিপুর যাচ্ছের অমিত শাহ।
রবিবার মণিপুরের প্রায় ৬টি জায়গায় আবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সশস্ত্র গোষ্ঠী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এন বীরেণ সিং বলেছেন, সাম্প্রতিক সংঘর্ষটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল নায এটি কুকি জঙ্গে ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, সশস্ত্র জঙ্গিরা স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যা করতে ও ভয় দেখাতে AK-47, M-16 এবং স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করছে। তাই নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এদিন সচিবালয় বসেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষের কাছে শান্তি রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বসেছেন, সরকারের ওপর আস্থা রাখার কথাও বলেছেন। তিনি বলেছেন নিরাপত্তা বাহিনীতকে যেন কোনও মতেই স্থানীয়রা বাধা না দেয়। বাহিনীকে যাতে স্থানীয়রা পূর্ণ সমর্থন করে তারও আবেদন জানিয়েছেন বীরেণ সিং। তিনি বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন ধরেই কষ্ট সহ্য করেছি, কিন্তু কখনই রাজ্য ভাগ হতে দেন না।' মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এদিনের সংঘর্ষে এক জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাতে বাধা দিচ্ছে।
মণিপুরের এক সরকার পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সেনা বাহিনী অস্ত্র মুক্ত করার জন্য রবিবার সকাল থেকেই অভিযান শুকু করেছিল। তারপরই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইম্ফলের পশ্চিমে উরিপোকে বিজেপি বিধায়কের বাড়ি ভাঙচুর করে দুটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। উইম্ফলের বেশ কিছু এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে এদিন সকাল থেকেই সংঘর্ষ শুরু হয়ে। কাকচিংয়ের সুগনু, চুরাচাঁদপুরের কাংভি, ইম্ফল পশ্চিমের কাংচুপ, ইম্ফল পূর্বের সাগোলমাং, বিষেনপুরের নুঙ্গোইপোকপি, ইম্ফল পশ্চিমের খুরখুল এবং কাংপোকপিতে ওয়াইকেপিআইতে সংঘর্ষ মারাত্মক আকার নিয়েছিল। সরকারি কর্তা আরও জানিয়েছেন, একাধিক জায়গায় জঙ্গিদের নেতৃত্বে ছিল মহিলারা। সেখানে সেনা টহল আপাতত কমান হয়েছে।
Bollywood Gossip: কবে বিয়ে পরিণীতি রাঘবের? নায়িকার একা রাজস্থান সফর উস্কে দিল জল্পনা
'অভিষেকের পর অহংকারী রাজা রাস্তায় জনগণের কণ্ঠ স্তব্ধ করছে!' দুটি ইস্যুতে রাহুলের নিশানায় মোদী
'আমি আমাকেই ভালবাসি দিবস', মোদী কীভাবে সংসদকে উপহাস করেছেন তার ফিরিস্তি দিল তৃণমূল