সংক্ষিপ্ত

কংগ্রেসের নিশানায় প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে একাধিক কংগ্রেস নেতার কটাক্ষ। আবারও উঠল রাষ্ট্রপতি ইস্যু। কুস্তিগিরদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের আচরণেরও তীব্র সমালোচনা করেন রাহুল।

 

রবিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন সংসদ হল জনগণের কণ্ঠস্বর। কিন্তু নতুন এই সংসদ ভবন উদ্বোধন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন আচরণ করেছেন যাতে মনে হচ্ছে তাঁর রাজ্যাভিষেক হচ্ছে। সোশ্য়াল মিডিয়ায় হিন্দিতে এমনই বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গেছে। তিনি আর সাংসদ হিসেবে যোগ্য নন। নরেন্দ্র মোদীর সংসদ ভবন উদ্বোধনের পরই রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন।

রাহুল গান্ধী বলেছেন, 'সংসদ হল জনগণের কণ্ঠস্বর! প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভবনের উদ্বোধনকে রাজ্যাভিষেক হিসেবে বিবেচনা করছেন।' শুধু রাহুল গান্ধী নয়, কংগ্রেসের একাধিক নেতা এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনায় সরব হয়েছেন। রাহুল গান্ধী একই সঙ্গে যন্তর মন্তরে কুস্তিগীরদের ওপর দিল্লি পুলিশের হামলারও প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেছেব, 'অভিষেক পর্ব শেষ হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে অহংকারী রাজা রাস্তায় নেমে জনগণের কণ্ঠকে চূর্ণ করতে শুরু করেছেন। ' এদিন দিল্লি পুলিশ আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের আটক করে। কিন্তু সেই সময় কুস্তিগিরদের সঙ্গে পুলিশ ধ্বস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। রাহুল গান্ধী সেই ঘটনার ভিডিও ফুটেজও শেয়ার করেছেন।

কংগ্রেস নেতা কেসি বেনুগোলাপ বলেছেন, নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান যখন হয়েছিল তখন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে সেই অনুষ্ঠান থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। এবার নতুন সংসদ ভবন অনুষ্ঠানে কার্যত ব্রাত্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত। শুধুমাত্র তাঁর লেখা বার্তা পাঠ করা হবে। কংগ্রেস নেতা আরও বলেছেন, এটি আরএসএস-এর উচ্চবর্ণ অনগ্রসর মানসিকতার কারণে তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী রাজনীত্ক জন্য গোটা বিষয়টিকে একটি টোকেন হিসেবে ব্যবহার করছেন। কিন্তু তাদের কোনও প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। বেনুগোলাপ আরও বলেছেন, রাষ্ট্রপতি উপরাষ্ট্রপতি যদি উপস্থিত থাকতেন তাহলে এই অনুষ্ঠান আরও তাৎপর্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক হতে পারত।

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, 'এই দিনে ২৮ মে নেহেরু , যিনি ভীরতের সংসদীয় গণতন্ত্রকে লালন করার জন্য সবথেকে বেশি কাজ করেছিলেন তাঁকে দাহ করা হয়েছে ১৯৬৪ সালে। সাভারকর- সেই ব্যক্তি যিনি আর্দশিক বাস্তুতন্ত্রকে হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছিল, মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করে ১৮৮৩ সালে এই দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন।' এখানেই শেষ নয়, রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে মুখ খুলেছেন জয়রাম রমেশ। তিনি বলেছেন, দ্রৌপদী মুর্মু - দেশের প্রথম আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলা রাষ্ট্রপতি। তাঁকে তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব রালন করতে ও নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করতে দেওযা হয়নি। সংসদীয় পদ্ধতির জন্য সম্পূর্ণ ঘৃণার সাথে একজন স্ব-গৌরবান্বিত কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী, যিনি খুব কমই সংসদে যান বা এতে জড়িত হন, ২০২৩ সালে তিনি নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করলেন।

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম রবিবার সেঙ্গোল ইস্যুতে এক হাত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তিনি বলেন রাজদণ্ডের 'রূপক সেঙ্গোল' হাতে তুলে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীস, কিন্তু এখনও মণিপুরের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে একটিও কথা বলেননিয কংগ্রেস এদিন নতুন সংসদ উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করেছে। তাঁদের দাবি ছিল নুতন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দায়িত্ব দেওয়া হোক রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। কিন্তু এদিনের অনুষ্ঠানে কার্যত অনুপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

আরও পড়ুনঃ

'আমি আমাকেই ভালবাসি দিবস', মোদী কীভাবে সংসদকে উপহাস করেছেন তার ফিরিস্তি দিল তৃণমূল

রাজদণ্ড সেঙ্গোল হাতে নিয়ে মণিপুর নিয়ে চুপ! চিদাম্বরমের খোঁটা প্রধানমন্ত্রীকে

'মোদীজিকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ', সেঙ্গোল ইস্যুতে আরও কী কী বললেন রজনীকান্ত - দেখুন