'মণিপুরে শান্তি ফিরতে পারে না', কেন এমন কথা বলছেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ

Published : Aug 16, 2023, 03:29 PM IST
manipur violence update fresh clash in bishnupur after 3 killed in violence bsm

সংক্ষিপ্ত

গৌরব গগৈ বলেন, ৩ মে থেকে হিংসার ঘটনা ঘটছে মণিপুরে। বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের জীবন। মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি সরকার। 

লুঠের অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত মণিপুরে শান্তি ফিরতে পারে না। আবারও একই কথা বললেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ। সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপর অনাস্থা প্রস্তাব আনার সময়ও একই কথা বলেছিলেন অসমের সংসদ। এদিনও তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সেই কথাই বলেন। বুধবার গৌরব গগৈ বলেছেন, ৬০০০ আত্যাধুনিক অস্ত্র ও ৬ লক্ষ রাউন্ড গোলাবাদুর উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত মণিপুরের শান্তি ফিরতে পারে না বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, অত্যাধুনিক এই অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে লুঠ করা হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা সেগুলি রাজ্যের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।

গৌরব গগৈ বলেন, ৩ মে থেকে হিংসার ঘটনা ঘটছে মণিপুরে। বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের জীবন। মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি সরকার। বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে কোনও আলোচনা হয়নি। আর সেই কারণেই সুদূর অতীতে তিনি শান্তি ফেরার কোনও লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন। গৌরব গগৈ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বীরোন সিংএর শাসনকালে মেইতি আর কুকি- দুই সম্প্রদায়ই অসন্তুষ্ট। তিনি আরও বলেন, এটি অত্যান্ত দুর্ভাগ্যজনক যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে বীরেন সিংকে পুরোপুরি সমর্থন করেছেন। তিনি আরও বলেনস শান্তি কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি শান্তি আলোচনার ব্যর্থতার দিকে পরিচালিত করছে।

চন্দ্রঅভিযানের মধ্যেই সূর্য অভিযানের প্রস্তুতি শুরু ইসরোর, Aditya L-1 মিশন সম্পর্কে রইল বিস্তারিত তথ্য

গৌরব গগৈ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লালকেল্লা থেকে দেশের উদ্দেশ্য ভাষণ দিয়ে মানুষকে মণিপুর ইস্যু নিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন। কারণ এখনও ওই রাজ্যের ৬০ হাজার মানুষ ত্রাণ শিবিরে বাস করতে বাধ্য হচ্ছে। আর খোলা রাস্তায় সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে গেছে প্রায় ৬ হাজার অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। এই অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ার পর্যন্ত আর পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যে কোনও ভাবেই শান্তি ফিরতে পারবে না।

Rain: প্রবল বৃষ্টি আর ভূমিধসে ধ্বংসপুরী হিমাচলপ্রদেশ আর উত্তরাখণ্ড, দুই রাজ্যে মৃত ৬৩

মণিপুর ইস্যুতে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন গৌরব গগৈ। সেখানেই তিনি মণিপুরের ঘটনা তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যে মণিপুর জ্বলছে মানে এটা মনে করা ভুল যে উত্তর পূর্বের কোনও একটি রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটছে। গোটা ভারতে আগুন লাগছে। তাই এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। শাসকদলের অনেকেই মণিপুর নিয়ে আলোচনায় উৎসাহী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্যের গুরুত্ব তাঁর ও দেশবাসীর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, 'আমরা বাধ্য হয়েই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি।' প্রধানমন্ত্রীর নীরবতার জন্য এই কাজ করতে তারা বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ৪০ দিন পরে প্রধানমন্ত্রী মণিপুর নিয়ে কথা বলেছিলেন। তাও সংসদের বাইরে - মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য । তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, গুজরাট বা ত্রিপুরার নির্বাচনের আগে দ্রুত গতিতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেখানের মুখ্যমন্ত্রীদের । কিন্তু এখনও কেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে বরখাস্ত করা হয়নি।

অক্ষরধাম মন্দিরে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল, সামিল হলেন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে

 

PREV
click me!

Recommended Stories

২০০১ সংসদ ভবন হামলার ২৫ বছর, একই লাইনে দাঁড়িয়ে মোদী-রাহুলের শ্রদ্ধা নিহতদের
ই-সিগারেট কী? কতটা বিপদ লুকিয়ে রয়েছে? E-Cigarette নিয়েই সংসদে বিতর্ক তৃণমূল-বিজেপির