সংক্ষিপ্ত

আদিত্য-L1 মিশনের মূল লক্ষ্যই হল সূর্যকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে। বায়ুমণ্ডল ও চৌম্বক ক্ষেত্র সম্পর্কে তথ্য দেবে।

 

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো আরও বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে। চন্দ্রঅভিযানে ধীরে ধীরে সাফল্যের মুখ দেখছে ইসরো। সেই সময়ই সূর্য অভিযানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইসরো। যার নাম আদিত্য মিশন। গত ১৪ অগাস্ট আদিত্য এল ১ (Aditya-L1) মিশনের ছবি প্রকাশ করেছে মহাকাশ সংস্থা। যদি এই মিশনের দিনক্ষণ এখনও পর্যন্ত কিছুই ঘোষণা করা হয়নি। স্যাচেলাইটটি অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে পৌঁছেছে। উৎক্ষেপণ যান PSLV এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

ইসরোর টুইট- "PSLV-C57/Aditya-L1 মিশন: আদিত্য-L1,সূর্য অধ্যায়ন করার জন্য প্রথম মহাকাশ যান, ভারতীয় মানমন্দির, যা উৎক্ষেপণের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার বেঙ্গালুরুর উপগ্রহটি SDSC-SHAR শ্রীহরিকোটায় পৌঁছেগেছে।

 

 

আদিত্য মিশন কী?

আদিত্য মিশন হল আদিত্য-L1 মিশনের মূল লক্ষ্যই হল সূর্যকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে। বায়ুমণ্ডল ও চৌম্বক ক্ষেত্র সম্পর্কে তথ্য দেবে। সূর্যের করোনা, সৌর নির্গমণ, শিখা, করোনাল, মাস ইজেকশন অধ্যায়নের জন্য বোর্ডে সাতটি পেলোড বা যন্ত্র থাকবে। ২৪ ঘণ্টা ধরে সূর্যের ছবি তোলার ব্যবস্থাও থাকবে।

সূর্য অধ্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ

পৃথিবী ও সৌরজগতের বাইরের এক্সোপ্ল্যানেটগুলি-সহ সহ প্রতিটি গ্রহ বিবর্তিত হয়- এই বিবর্তনটি তার মূল নক্ষত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সৌর আবহাওয়া ও পরিবেশ সমগ্র সিস্টেমের আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে। এই আবহাওয়ার পরিবর্তনগুলি স্যাটেলাইটের কক্ষপথ পরিবর্তন করতে পারে বা তাদের কার্যক্ষমতাকে ছোট করে দিতে পারে। জাহাজের ইলেকট্রনিক্সে হস্তক্ষেপ বা ক্ষতি করতে পারে এবং পৃথিবীতে পাওয়ার ব্ল্যাকআউট এবং অন্যান্য ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে। সৌর ইভেন্টের জ্ঞান মহাকাশের আবহাওয়া বোঝার চাবিকাঠি।

বিজ্ঞানীদের মূল উদ্দেশ্য হল সৌর ঝড় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা। সৌর ঝড় সম্পর্কে কী করে পূর্বাভাস দেওয়া যায় তাও জানতে চান বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর দিকে আসা প্রতিটি ঝড় L1 এর মধ্যে দিয়ে যায়, সূর্য-পৃথিবী সিস্টেমের L1 এর চারপাশে হ্যালো কক্ষপথে স্থাপিত একটি উপগ্রহর তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখতে চান মহাকাশে প্রয়োজনীয় জ্বালানি খরচ কমাতে কোনও পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় কিনা।

নাসা আর ইসরোর মধ্যে পার্থক্য

L1 বিন্দু পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে। এটি সূর্যে যাওয়ার কাছের পথ। এটির মাধ্যমে সূর্যের প্রায় ১০০ শতাংশ কাছে যাওয়া যায়। তাই আদিত্য L1সূর্যের দিকে তাকিয়ে একটানা পর্যবেক্ষণ করবে। নাসার পার্কার সোলার প্রোব, ২০১৮ সালে লঞ্চ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেটি অনেক কাছাকাছি চলে গেছে। কিন্তু তারপরেও আদিত্য L1 প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ। পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের ফ্লাইবাই চলাকালীন এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়ালেরও বেশি গরম সহ্য করতে হয়েছে। তবে আদিত্য L1কে একটা তাপের মুখোমুখি হতে হবে না। কারণ এটি নাসার মিশনের মত সূর্যের ততটাও কাছাকাছি থাকবে না। তবে অন্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।