Weed in Amazon: অ্যামাজনে কিনা বিক্রি হচ্ছিল গাঁজা, উঠল NCB তদন্তের দাবি


ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনের (Amazon) মাধ্যমে চলছিল গাঁজার চোরাচালান (Marijuana Smuggling)। এনসিবি (NCB) তদন্ত দাবি করল কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স বা সিএটিআই (CAIT)।

Asianet News Bangla | Published : Nov 17, 2021 1:22 AM IST / Updated: Nov 17 2021, 06:57 AM IST

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনের (Amazon) মাধ্যমে চলছিল গাঁজার চোরাচালান (Marijuana Smuggling)! কাড়ি পাতা (Kadi Patta) বলে দেশের বিভিন্ন শহরে তাদের এজেন্টদের কাছে পাঠাতো গাঁজা! গত রবিবার মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) দুই ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার পরই এই চাঞ্চল্যকর বিষয়টি সামনে এসেছে। আর তারপরই ই-কমার্স জায়ান্টের মাধ্যমে গাঁজা বিক্রির বিষয়ে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি (NCB) তদন্ত দাবি করল ব্যবসায়ীক সংগঠন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স বা সিএটিআই (CAIT)।

গত রবিবার (১৪ নভেম্বর) ভিন্দ (Vind) জেলার একটি রাস্তার ধারের খাবারের দোকান থেকে ২০ কেজি গাঁজা-সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ (Madhya Pradesh Police)। এরপর, জিজ্ঞাসাবাদের সময়, তারা যা বলে, তাতে তাক লেগে গিয়েছিল পুলিশের। তাদের বয়ান অনুযায়ী, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে মধ্যপ্রদেশে গাঁজা পাচার করতে অ্যামাজন ইন্ডিয়ার অ্যাপ ব্যবহার করেছিল তারা। দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিন্দের ডিএসপি মনোজ কুমার সিং জানিয়েছেন,  গত চার মাসে এই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে, তারা প্রায় এক টন গাঁজা সংগ্রহ করেছিল। ১.১০ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে। 

আরও পড়ুন - গাঁজায় মুখ পুড়ল খোদ দিল্লি পুলিশের, চরম দুর্নীতিতে ডুবে সাসপেন্ড চার কর্তা

আরও পড়ুন - গাঁজা সেবন করছেন রিয়া এবং সুশান্ত, ঠাট্টা চলছে ভিডিওতে, চাঞ্চল্য নেটদুনিয়ায়

আরও পড়ুন - বন্ধ সব সেক্স ক্লাব, 'করোনা-আতঙ্কে' লম্বা লাইন গাঁজা-চরসের দোকানের বাইরে

গ্রেফতার দুজনেই একটি 'মাদক পাচারকারী গ্যাং'-এর সদস্য বলে দাবি পুলিশের। তাদের জেরা করে পুলিশ এই মামলায় অনেকদূর এগিয়েছে। এই মামলার সাথে জড়িত আরও চারজনকে ইতিমধ্য়েই চিহ্নিত করেছে তারা। আরও ছয়জন অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্ত'কে সনাক্ত করা এবং গ্রেফতারির চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। তদন্তকারী আধিকারিকদের সন্দেহ, এই পাচারকারী দলের মূল মাথাই, বিশাখাপত্তনম থেকে কারি পাতার নামে গাঁজা পাচার করেছে। মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ ছাড়াও, গোয়ালিয়র, উত্তর প্রদেশের আগ্রা, দিল্লি,  এবং রাজস্থানের কোটা শহরেও এভাবে সে কেজি কেজি গাঁজা পাঠিয়েছে তার এজেন্টদের কাছে। 

মধ্যপ্রদেশ পুলিশ এই মামলার বিষয়ে সাহায্যের জন্য, অ্যামাজন ইনকর্পোরেটেডের স্থানীয় কার্যনির্বাহী কর্তাদের তলব করেছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, অ্যামাজনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিক্রেতার দিক থেকে কোনও দোষ ছিল কিনা, সেই বিষয়ে তদন্ত করছে তাদের সংস্থা। এরইমধ্যে সোমবার, মধ্যপ্রদেশেই এই বিষয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন সিএটিআই-এর সেক্রেটারি-জেনারেল প্রবীণ খান্ডেলওয়াল। ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের মাধ্যমে কীভাবে গাঁজা বিক্রি হতো, সেই বিষয়ে এনসিবির তদন্ত দরকার বলে জানিয়েছেন তিনি। 

গত দেড় বছরে, প্রথমে সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলায় এবং তারপর আরিয়ান খানে গ্রেফতারির ঘটনায় - বারবার এনসিবি বা নারকোটিক্স  কন্ট্রোল ব্যুরোর নাম সামনে উঠে এসেছে। বলিউডে একাধিক তারকা বা তারকা পুত্রদের বিভিন্ন সময়ে ডেকে পাঠিয়েছে তারা। এই মামলার প্যাঁচ তারাই খুলতে পারবে বলে মনে করছে ব্যবসায়ী সংগঠনটি। 
 

Share this article
click me!