গোয়ালিয়রের রাস্তায় ভিক্ষা করছেন কানপুর আইআইটির ইঞ্জিনিয়ার, মুখে ছুটছে ইংরাজির বন্যা


আর পাঁচজন ভিখারীর থেকে আনাদা করা যায় না

কিন্তু, কথা বললেই মুখে ছোটে ইংরাজির ফুলঝুড়ি

জানা গিয়েছে তিনি আইআইটি কানপুরের প্রাক্তনী

১৯৬৯-এ পাস করেছিলেন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং

amartya lahiri | Published : Dec 8, 2020 2:12 PM IST / Updated: Dec 08 2020, 07:43 PM IST

মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র শহরের রাস্তায় ভিক্ষা করছিলেন এক প্রবীন ব্যক্তি। ভিখারীদের উদ্ধার করে এমন এক সংগঠনের কর্মীরা গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে কথা বলতে। আর তিনি কথা শুরু করতেই সংগঠনের কর্মীারা অবাক। গড়গড়িয়ে ইংরাজি বলে যাচ্ছেন তিনি। কোথা থেকে শিখলেন? জানা গিয়েছে তিনি আইআইটি-কানপুরের প্রাক্তন ছাত্র।

আরও পড়ুন - ভাইরাল জেপি নাড্ডার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি, সত্যিই কি 'পিসিমণির মনটা' ভেঙে দিলেন বিধায়ক

আরও পড়ুন - প্রথম বউয়ের সঙ্গে টুইটারেও বিচ্ছেদ ঘটল ইমরান খানের, নেপথ্যে কি নওয়াজ শরিফ

আরও পড়ুন - উচ্চতা বাড়ল বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শিখর এভারেস্ট-এর, পিছনে পড়ে রইল রাধানাথের গণনা

এমনই অদ্ভূত কাহিনী সুরেন্দ্র বশিষ্ঠের। বয়স এখন ৯০ বছর। আশ্রম স্বর্গ সদন নামে একটি বেসরকারি সংগঠন তাঁকে উদ্ধার করে তাদের আশ্রমে নিয়ে এসেছে। সংগঠনের এক কর্মী জানিয়েছেন, গোয়ালিয়র-এর ক্যান্টনমেন্ট বাস স্ট্যান্ড ফুটপাথে খুব খুব করুণ অবস্থায় তাঁর দিন কাটছিল। নিজে হাঁটার ক্ষমতা নেই। পরণে ময়লা কাপড়-চোপড়। কীভাবে তাঁর এই দশা হল তা জানাতে পারেননি তিনি। কিন্তু কথা বললেই বোঝা যায় তিনি উচ্চশিক্ষিত। গলায় টগবগ করছে আত্মবিশ্বাস।

সুরেন্দ্র শুধু জানিয়েছেন, গোয়ালিয়র মিশিল স্কুলে তিনি সেরা ছাত্র ছিলেন। ১৯৬৯ সালে আইআইটি-কানপুর থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাস করেছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালে লখনউ ধথেকে আইন ডিগ্রিও নিয়েছিলেন। তাঁর বাবার নাম ছেদালাল বশিষ্ঠ। ১৯৯০ এর দশকে বন্ধ হয়ে যাওয়া জেসি মিলস-এ তিনি সাপ্লায়ার ছিলেন। আপাতত স্বর্গ সদনের পক্ষ থেকে তাঁর আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মজার বিষয় হল গত মাসেই প্রায় একই ধরণের একটি ঘটনার জেরে সংবাদ শিরোনামে এসেছিল আশ্রম স্বর্গ সদন। বেশ কয়েক বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন এক প্রাক্তন পুলিশকর্তাকে একই ভাবে গোয়ালিয়রের রাস্তা থেকেই উদ্ধার করেছিল এই সংগঠন। মনীষ মিশ্র নামে ওই প্রাক্তন পুলিশ কর্তা একসময় রাজ্য পুলিশের শার্পশুটার ছিলেন। তাঁকে অবশ্য খুঁজে পান পুলিশ অ্যাকাডেমিতে তাঁরই ব্যাচমেট রত্নেশ সিং তোমর এবং বিজয় সিং ভাদোরিয়া নামে মধ্যপ্রদেশ ক্রাইম ব্রাঞ্চের দুই বড় কর্তা। তারপর থেকে তাঁর চিকিৎসা ও দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছে আশ্রম স্বর্গ সদন। ধীরে ধীরে ওই প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছে সংগঠনের সদস্যরা।

 

Share this article
click me!