আবারও কী উত্তপ্ত হচ্ছে ভারত-চিন সীমান্ত? একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে তেমনই দাবি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে চলতি মাসেই পূর্ব লাদাখ সেক্টরে গালওয়ান উপত্যতায় ভারত ও চিনা সেনাবাহিনী মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল। যদিও সেই সংঘর্ষ মারাত্মক আকার নেয়নি। সংঘর্ষের তীব্রতা ছিল খুবই কম। যদিও সাংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ভারতীয় সেনা বাহিনীর সংবাদ মাধ্যমের সেই রিপোর্ট প্রত্যাখান করেছে। ভারতীয় সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, রিপোর্টটি পূর্ব লাদাখের সমস্যা সমাধানের জন্য চলমান প্রক্রিয়াকে বাধা দেওয়ার জন্যই লেখা হয়েছে।
ভারতের প্রথম সারির দৈনিক, 'দ্য়া হিন্দু'তে ২৩ মে ২০২১তে ' গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাদের সঙ্গে সামান্য সংঘর্ষ ' শীর্ষক একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে চলতি বছর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে গালওয়ান উপত্যতায় ভারতীয় ও চিনা সেনাদের মধ্যে সামান্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।রিপোর্টে বলা হয়েছে গত বছর ভারত চিন সমস্যা সমাধানের জন্য নো পেট্রোলিং অঞ্চল তৈরি হয়েছিল। উভয় পক্ষই মাঝেমধ্যে এই এলাকা পরিদর্শন করত। মূলত দুই দেশই দেখতে চাইত প্রতিপক্ষ লাইনটি অতিক্রম করছে কিনা। সেই টহলের সময়ই একটি বিশেষ দিনে ভারত ও চিনা সৈন্য একটি বিশেষ দিনে একই সঙ্গে একই এলাকা পরিদর্শনে চলে গিয়েছিল। সেই সময়ই দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সামান্য সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। তবে দুই দেশের সেনাই দ্রুত নিজেরদের পুরনো অবস্থানে ফিরে আসে। যদিও রিপোর্টে সরকারি আধিকারিক ও সেনা বাহিনীর সূত্র দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু পুরো ঘটনাই অস্বীকার করে ভারতীয় সেনা বাহিনী স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ভারত ও চিনের মধ্যে কোনও সংঘর্ষের ঘটনা নতুন করে ঘটেনি। একই সঙ্গে বলা হয়েছে এজাতীয় রিপোর্টের মাধ্যমে ভারত ও চিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের যে প্রক্রিয়া চলতে তা ব্যহত করবে। একটি সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিপ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেছেন, সীমান্তের প্রবিত্রতা বজায় রাখা ও ভারতীয় ভূখণ্ডের সামান্যতম অংশ বিনা লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের হাতে তুলে না দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় দায়বদ্ধ ভারতীয় সেনা বাহিনী।
গতবছর এই সময় থেকেই ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল লাদাখ সীমান্ত। চিনা সেনার অনুপ্রবেশের কথা ধীরে ধীরে সামনে আসছিল। জুন মাসেই গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনা সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। তারপর থেকে দীর্ঘ দিন উত্তপ্ত ছিল পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ সীমান্ত। প্যাঙ্গন থেকে গ্যালওয়ান ভ্যালি এমনকি দোপসাং উপত্যকাতেও দুই দেশের সেনার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। সম্প্রতি সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছিল চিন। তাতেই কিছু হলেও শান্ত হয় পূর্ব লাদাখ সেক্টর।