১৩ বছরের শিশুকে দিনের পর দিন আটকে রেখে চলত নারকীয় তান্ডব। ঘটনার বিবরণ প্রকাশ্যে আসতেই হাড় হিম হয়ে যাচ্ছে মানুষের।
পেটের দায়ে বিহারের গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে পরিচারিকার কাজ করে বেরাত ১৩ বছরের শিশু। সমান বেতন পাওয়ার দাবির কথা তার অজানা, কিন্তু, সামান্য মনুষ্যত্বও যে তার প্রতি থাকবে না, তা শিশুমনের কল্পনাতেও কোনওদিন আসেনি। ভয়ঙ্কর নারকীয় অত্যাচারের শিকার হতে হল ১৩ বছর বয়সি নাবালিকাকে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার গুরুগ্রামে।
-
এক প্রৌঢ়া এবং তার তিরিশ বছরের কাছাকাছি বয়সি দুই ছেলের বাড়িতে কাজ করত ১৩ বছর বয়সি শিশু, বাড়িটি ছিল গুরুগ্রামের ৫৭ নম্বর সেক্টরে। হঠাৎ করেই একদিন নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি। তার কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না পরিবারের মানুষজন। বাধ্য হয়ে তাঁরা দ্বারস্থ হন নিকটবর্তী থানায়। শহর জুড়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। কিন্তু, অনেক খোঁজাখুঁজি করেও প্রায় ৬ মাস ধরে কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না মেয়েটির।
-
৬ মাস পর ওই প্রৌঢ়ার বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। তার শরীর তখন অ্যাসিডে পোড়া, শরীরের চারিদিকে বীভৎস ক্ষত। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় নিকটস্থ হাসপাতালে। গ্রেফতার করা হয় প্রৌঢ়া এবং তাঁর প্রায় তিরিশ বছর বয়সি দুই ছেলেকে। তারপরেই নাবালিকা পুলিশকে জানায় হাড়-হিম করা অত্যাচারের কথা।
-
৬ মাস ধরে শিশুকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছিল তিন অভিযুক্ত। ভালো করে খেতে দেওয়া তো দূরের কথা, তার হাত পা অ্যাসিড ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, তাকে নগ্ন করে ভিডিও রেকর্ডিং করে দেখানো হত যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়ার ভয়, একাধিকবার করা হয়েছিল ধর্ষণও। এতকিছুর পরেও তাকে হাতুরি দিয়ে মারা হত, এমনকি তাকে খেয়ে নেওয়ার জন্য মা ও ছেলেরা মিলে বাড়ির কুকুরকে উত্তেজিতও করত বলে জানিয়েছে নির্যাতিতা! এই নারকীয় ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শহর জুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।