প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে হিমাচল প্রদেশে দুটি উন্নয়ন মডেল রয়েছে "একটি হল 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এবং সবকা বিশ্বাস'। অন্য মডেলটি হল 'খুদ কা স্বার্থ, পরিবার কা স্বার্থ'।
হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে ধৌলা সিধ জলবিদ্যুৎ এবং রেনুকাজি বাঁধ প্রকল্প (Dhaula Sidh hydropower and Renukaji dam projects) সহ ১১ হাজার কোটি টাকার (Rs 11,000 crore) প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। এদিন মান্ডিতে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর (Himachal Pradesh CM Jairam Thakur)।
মান্ডিতে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে হিমাচল প্রদেশে দুটি উন্নয়ন মডেল রয়েছে। "একটি হল 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এবং সবকা বিশ্বাস'। অন্য মডেলটি হল 'খুদ কা স্বার্থ, পরিবার কা স্বার্থ'। হিমাচল প্রদেশ সরকার প্রথম মডেলে কাজ করছে এবং রাজ্যে অনেক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন করেছে। এদিন হিমাচল প্রদেশ সরকার চার বছর পূর্ণ করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বিজেপির শাসনে থাকা রাজ্যের সংখ্যা বাড়ানোর ওপরে জোর দেন। তাঁর ভাষায় দেশে 'ডাবল-ইঞ্জিন' রাজ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার COVID-19-এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং রাজ্যে উন্নয়ন কাজ যেন বন্ধ না হয় তাও নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন পুরো বিশ্ব ভারতের প্রশংসা করছে যে কীভাবে আমাদের দেশ পরিবেশকে বাঁচিয়ে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। আমাদের দেশ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির প্রতিটি সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার করার জন্য অবিরাম কাজ করছে।
উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার আগে প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১১টায় হিমাচল প্রদেশ গ্লোবাল ইনভেস্টরস মিটের দ্বিতীয় গ্রাউন্ড ব্রেকিং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এদিন রেণুকাজি বাঁধ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় তিন দশক ধরে অমীমাংসিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই প্রকল্প। ছটি রাজ্য- হিমাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড এবং দিল্লি একত্রিত ভাবে এই প্রকল্পে সহায়তা করে। ৪০ মেগাওয়াট প্রকল্পটি প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে। এটি দিল্লির জল সরবরাহ ব্যবস্থায় সাহায্য করবে, কারণ এখান থেকে প্রতি বছর প্রায় ৫০০ মিলিয়ন কিউবিকমিটার জল পাবে রাজধানী।
এছাড়াও লুহরি স্টেজ ওয়ান হাইড্রো পাওয়ার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২১০ মেগাওয়াট প্রকল্পটি ১৮০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত হবে। এটি প্রতি বছর ৭৫০ মিলিয়ন ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। ধৌলাসিধ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এটিই হবে হামিরপুর জেলার প্রথম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ৬৬ মেগাওয়াট প্রকল্পটি ৬৮০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত হবে। এটি প্রতি বছর ৩০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে খবর।
এদিন, সাওরা-কুড্ডু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। একশো এগারো মেগাওয়াট প্রকল্পটি প্রায় ২০৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। এটি প্রতি বছর ৩৮০ মিলিয়ন ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং রাজ্যকে বার্ষিক ১২০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করতে সহায়তা করবে।