ছেলের চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ডলে দিল মা, ভিডিও দেখে আঁতকে উঠল সোশ্যাল মিডিয়া

ছেলেকে কঠোর শাস্তি দিতে চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ঘসে দিল মা। ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। তবে ভিডিওটি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক

ছেলেকে খুঁটিতে বেঁধে রেখে তার চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ডলে দিচ্ছে মা। আর ছেলেকে ধরে রয়েছে এক মহিলা। চোখের জ্বালার আর্তনাদ করছে ছেলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। মাত্র ২৮ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি ভাইরাল রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।  যা দেখে রীতিমত আঁতকে উঠেছে নেটিজেনরা। কিন্তু কেন এই ভিডিও- তা নিয়ে রীতিমত সরগরম নেটদুনিয়া। শ্রীকান্ত নামে এক টুইটার ব্যবহারকারীর এটি শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি সেই ব্যক্তি ছেলের গাঁজার নেশা কী করে ঘুচিয়ে দিতে হবে তার পরামর্শ দিয়েছেন। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে শ্রীকান্ত লিখেছেন, একজন মা যখন জানতে পারল তাঁর ১৫ বছরের ছেলের গাঁজা নেশা করছে তখন সে আর হাতপা গুটিয়ে বসে থাকেনি। সে অন্য একটি চিকিৎসার মাধ্যমে সেই সেই মা ছেলের গাঁজার নেশা বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে। তার চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ঘসে দিয়ে। তিনি বাকি মায়েদেরও এজাতীয় পরামর্শ দিয়েছেন। আপনিও দেখুন ভিডিওটি। 

Latest Videos

ঘটনাটি তেলাঙ্গনার সূর্যপেট জেলায়। সেখানে এক মা তার ছেলের গাঁজার নেশা ছোটাতে ছেলেকে খুঁটিতে বেধে রেখে তার চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ঘসে দিচ্ছে। নেতাগ্রস্ত ছেলেটির মাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে এক মহিলা। তিনিও ছেলেটির হাত ধরে রয়েছেন। যাতে মা ছেলের মুখে লঙ্কা গুঁড়ো মাখিয়ে দিতে পারেন। সোমবার এই ঘটনা কোদাদ শহরে ঘটেছিল। 

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছেন ১৫ বছরের ছেলেটি বেশ কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। সোমবারই সে বাড়ি ফিরে আসে। সেই সময়ই মা জানতে পারে ছেলে গাঁজার নেশায় আশক্ত। তারপরই প্রবল রেগে গিয়ে ছেলেটির মা তাদের রাস্তার ধারে একটি খুঁটিতে বেঁধে রেখে চোখে লঙ্কা গুঁড়ে ডলে দেয়। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্মে এই নিয়ে রীতিমত বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ অনেকেই মনে করছে, ছেলের গাঁজা কেন, যেকোনও নেশার আশক্তি কাটাতে এটাই সর্বোত্তম চিকিৎসা। এতেই সমস্যার সমাধান হবে। অন্য একটি দল অবশ্য  ছেলেটির মাকে নির্মম হিসেবে বর্ণনা করেছে। মায়ের আরও একটু ধৈর্য্যের প্রয়োজন ছিল বলেও জানিয়েছে। 

যাইহোক পুলিশ  জানিয়েছে, কিশোর স্কুলছুট। এক সপ্তাহ পর সে বাড়ি ফিরেছিল। গোটা সপ্তাহ কিশোরের মা তাকে খুঁজে বেরিয়েছে। কিন্তু কোনও সন্ধান পায়নি। আগেই অবশ্য ছেলেটির মায়ের সন্দেহ হয়েছিল সে  কোনও নিষিদ্ধ কাজ করেছেন বা নেশার ওষুধ সেবন করছে। ছেলে বাড়িতে ফেরার পরই মায়ের সন্দেহ সত্যি প্রমাণ হয়। তারপরই কিশোরের মা রেগে গিয়ে এজাতীয় কাজ করে। তবে মহিলার স্বামী ও প্রতিবেশীরা এজাতীয় আচরণ না করতেই পরামর্শ দিয়েছে। বলেছে, ছেলে নিয়ে মনোবিজ্ঞানীর কাছে যেতে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'তৃণমূলের দুয়ারে সরকার এখন দুয়ারে জঙ্গি', তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari
Suvendu Adhikari: 'কত বড় জিহাদি, রামনবমীর মিছিলে ঢিল মেরে দেখাও', হুঙ্কার শুভেন্দুর
খাদান নিয়ে Dev কে বিশ্রী আক্রমণ রাজের, দেবের পাশে দাঁড়িয়ে পাল্টা দিলেন Aritra Dutta Banik
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন
‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh