বয়স তাঁর মাত্র ১৫। শরীরে যৌবনের ছোঁয়া লাগলেও কৈশরের গণ্ডি পার করেনি। কিন্তু তাঁরই মধ্যে নৃশংস আর পাশবিক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে।
চূড়ান্ত অপনাম আর গ্লানি নাবালিকাকে ছিন্নভিন্ন করছিল। তাতেই নিজের ৪০ দিনের শিশু সন্তানকে হত্যা করেন মধ্যপ্রদেশের নাবালিকা (MP Minor) ধর্ষিতা (Rape)। চরম এই নির্যাতন আর দুঃখের ঘটনার সাক্ষী থেকে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) গামোহ জেলা। জেলা পুলিশ জানিয়েছেন সন্তান হত্যার অভিযোগ নির্যাতিতা কিশোরীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বয়স তাঁর মাত্র ১৫। শরীরে যৌবনের ছোঁয়া লাগলেও কৈশরের গণ্ডি পার করেনি। কিন্তু তাঁরই মধ্যে নৃশংস আর পাশবিক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। তাঁরই ১৭ বছরের বন্ধু, প্রেমিক বলাই শ্রেয় যার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল সে ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। গত ফেব্রুয়ারিতে সেই ছেলেটি মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। তারপরই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায় কিশোরী। যদিও সেই সময়ই কিশোরী তা টের পায়নি। অগাস্ট মাসে পেটে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তারপরই জানা যায় ১৫ কিশোরী গর্ভাবতী। এই ঘটনা মেয়েটিকে ও তাঁর পরিবাররে আগুনের সামনে ঠেলে যায়। পদে পদে কিশোরীকে লাঞ্ছনা আর গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছে। পরিবারের পাশাপাশি প্রতিবেশীদেরও কুকথা সহ্য করতে হয়েছে।
Oil price: করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের দাপট, প্রভাব ফেলল জ্বালানি তেলের দামের ওপরেও
Covid 19: করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের আতঙ্ক, পরিস্থিতি পর্যালোচনা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
NITI Aayog Poverty Index: সেরার কৃতিত্ব কার, তাই নিয়ে তরজা কংগ্রেস ও সিপিএম-এর
এই অবস্থায় গত অক্টোবরে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ১৬ অক্টোবর শিশু সন্তানের জন্ম দেয়। তারপর ৫ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি আসে। কিন্তু নিজের সন্তানকেই সহ্য করতে পারেনি মেয়েছিল। সন্তানে যখন মাত্র ৪০ দিন বয়স তখনই দুধের শিশুকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে কিশোরী মা। তারপর শিশুটিকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মেয়েটি জানায় তার সন্তান অসুস্থ। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মীরা পরীক্ষা করে জানায় শিশুটির আগেই মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়। যদিও মেয়েটির দাবি ছিল তার সন্তান অনুস্থ ছিল। তাই তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা যায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধ করে।
পুলিশ জানিয়েছেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরেই নির্যাতিতা কিশোরী সন্তান হত্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিশোরীকে জুভেনাইল জাস্টিস কোর্ট কিশোর সংশোধনাগারে পাঠিয়েছে। একই অবস্থায় কিশোরীর নাবালক প্রেমিকেরও। ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকেও পাঠান হয়েছে সংশোধনাগারে। কিশোরীর এই হত্যার ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন পুলিশও।