সংক্ষিপ্ত
বিশ্বের ইক্যুইটি বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তেলের দাম কমেছে। যা বিশ্ব অর্থনীতি ও জ্বালানির চাহিদাকে ধাক্কা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে (International Market) আবারও কমল জ্বালানি তেলের (Fule Price) দাম শুক্রবার অপরিশোধিত তেলের (Crude Oil) দাম ব্যারল প্রতি ১০ ডলার কমেছে কমে গেছে। ২০২০ সালের পর এটাই তেলের দামের সবথেকে বড় পতন বলেও দাবি করছে তেল সংস্থাগুলি। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে কোভিড ১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট (News Covid 19 Variant) বা ওমিক্রন (Omicron)। যা গোটা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের নতুন করে মহামারির ভয় দেখাতে শুরু করেছে।
বিশ্বের ইক্যুইটি বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তেলের দাম কমেছে। যা বিশ্ব অর্থনীতি ও জ্বালানির চাহিদাকে ধাক্কা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিটেন ইউরোপীয় দেশগুলি দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণের ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই করোনার এই নতুন রূপটির নাম দিয়েছে ওমিক্রন।করোনার এই নতুন স্ট্রেইন নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞরা।
করোনার এই নতুন স্ট্রেইনের কারণে ব্যারল প্রতি ব্রেন্ট ক্রুড ৯.৫০ ডলার বা ১১.৬ শতাংশ কেমেছে। দাম দাঁড়িয়েছে ৭২.৭২ ডলার। এটি সাপ্তাহিক পতনের ৮ শতাংশেরও বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ওয়েল বা অপরিশোধিত তেলের দাম শুক্রবার ১০.২৪ ডলার বা ১৩.১ শতাংশ কমেছে। বর্তমানে ব্যারল প্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬৮.১৫ ডলার। মিজুহোর এনার্জি ফিউচারের ডিরেক্টর বব ইয়াওগার জানিয়েছেন বাজারে এটি সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বর্তমানে করোনার এই স্ট্রেইন বাজারের যে চাহিদা বাড়ছিল তা ধ্বাংস করে দিয়েছে। ওমিক্রনের কারণে বিশ্ববাজানে নতুন করে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। যা আগের ক্রেতা ও ভোক্তাদেশগুলির মধ্যে ধরা দেখা গিয়েছিল।
Kangana Ranaut: শিখ বিরোধী মন্তব্য, এফআইআর-এর পর এবার কঙ্গনাকে সমন দিল্লি বিধানসভার
Afghan Girl: বিখ্যাত রিফিউজি এখন কোথায়, মনে পড়ে ন্যাট-জিওর সেই 'সবুজ চোখের' আফগান কন্যাকে
Covid 19: করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের আতঙ্ক, পরিস্থিতি পর্যালোচনা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
বিশেষজ্ঞদের কথায় বর্তমানে কিছুটা হলেও সক্রিয় হতে শুরু করেছিল ওয়ের্স্টান ট্যাক্স ইন্টারমিডিয়েট। বর্তমানে তাদের চুক্তি প্রথম লোকসানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সাল থেকেই এটাই সবথেকে বেশি পতন বলেও দাবি করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থ্যাঙ্কসগিভিং ছুটির সময়ই দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন এই করোনার স্ট্রেইনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। যা নতুন করে বিশ্ব বাজার তছনছ করে দিয়ে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানির দামের দিকে নজর রাখছে।
ওপেক প্লাস,এই সংস্থাটি মূলত পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলি ও তাদের সহযোগীদের সংস্থা। এই সংস্থাও বর্তমানে করোনার নতুন স্ট্রেইনের বিষয়ে সব কিছু খতিয়ে দেখছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেও আশা করা হয়েছে। সরবরাহ বাড়লে সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে বলেও আশা করা হয়েছে। কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের কথায় আগামিদিনে তেলের বাজার আরও খারাপ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।