ভারতের আরেক রহস্যময় জায়গা ভারত মায়ানমার সীমান্ত রয়েছে, যার রহস্য আজও সমাধান হয়নি। সেখানে রয়েছে এমন একটি রহস্যময় হ্রদ যার কথা অনেকেই জানেন না।
এক প্রান্তে পুয়ের্তো রিকো, একপ্রান্তে আমেরিকার ফ্লোরিডা ও আরেক প্রান্তে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ। বিশ্বের নামকরা ও জটিল রহস্যময় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। যেখানে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে কতশত প্রাণ। আর কখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁদের। ১৯৪৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে একাধিক রহস্যজনক ঘটনা ঘটেছে। তবে পরবর্তীকালে এই রহস্যের বৈজ্ঞানিক ভিত্তিক খোঁজ মেলে।
কিন্তু জানেন কী, ভারতের (India) রহস্যময় জায়গা (Mysterious Place) ভারত মায়ানমার সীমান্ত (border of India and Myanmar) রয়েছে, যার রহস্য (Mystery) আজও সমাধান হয়নি। সেখানে রয়েছে এমন একটি রহস্যময় হ্রদ (Mysterious lake) যার কথা অনেকেই জানেন না। তবে কথিত আছে যে সেখানে কেউ একবার গেলে নাকি আর ফিরে আসে না, এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে। এই হ্রদে একের পর এক বিমান অদৃশ্য হয়ে গেছে বা যাত্রীদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ভাষায় এই ফলের নাম ‘নউং ইয়াং’ (Naung Yang) বা ‘না ফেরার হ্রদ’ (Lake of No Return)। ভারত-মায়ানমার সীমান্ত এর পাংসাউ নামক এলাকায় এটি অবস্থিত। এর অবস্থান অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে। এই রহস্যময় হ্রদের দৈর্ঘ্য প্রায় ১.৮ কিলোমিটার এবং ৪০০ মিটার চওড়া। বলা হয়ে থাকে, এই হ্রদে যে একবার নামে সে আর ফিরে আসে না। উদাহরণস্বরূপ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই হ্রদের উপর দিয়ে অনেক বিমান অবতরণ করেছিল তারপর সেই বিমানগুলোকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি সেই সব যাত্রীরাও নিখোঁজ হয়ে যায়।
এছাড়াও এক গবেষক দাবি করেছেন যে, ইজরাইলের প্রাচীন গ্রন্থে এই হ্রদের কথা উল্লেখ রয়েছে। ওই গ্রন্থেও নাকি হ্রদটিকে ভয়ানক ও রহস্যময় বলে উল্লেখ করা আছে। দক্ষিণ মেরুর আশ্চর্যজনক হ্রদটি একদিন পুরোপুরিভাবে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, ঠিক তেমনি ভারতের এই হ্রদটিও অবাক করে।
এই হ্রদের রহস্যময়তা নিয়ে প্রচুর গল্প গোটা এলাকায় মুখে মুখে ছড়িয়ে রয়েছে। সেখানকার স্থানীয়দের মধ্যে নানা অলৌকিক ঘটনা এই হ্রদকে কেন্দ্র করে জানা যায়। বহুকাল আগে পাশের গ্রামের এক বাসিন্দা এই হ্রদ থেকে একটি মাছ তুলে নাকি সেটি রান্না করেছিলেন । ওই গ্রামের সকলেই ওই মাছ রান্না করে খেয়েছিলেন। শুধু খাননি একজন বৃদ্ধ ও তার মেয়ে। তারপর দিন ওই গোটা গ্রামকেই ভাসিয়ে দিয়েছিল হ্রদ। এতে সকলেই মারা যায় কেবল ওই বৃদ্ধ ও তার মেয়ে ছাড়া।
তবে এই ভারতেরই আরেক প্রান্তে রয়েছে এরকম রহস্যময় এলাকা, যেখানে একবার কেউ গেলে আর কখনও ফিরে আসে না। ‘ভারতের বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’ যে তিন কাল্পনিক বিন্দু নিয়ে গঠিত হয়েছে তার একটি বিন্দু রয়েছে ওড়িশার আমারদা রোড এয়ারফিল্ডে, দ্বিতীয় বিন্দু রয়েছে ঝাড়খন্ডের চাকুলিয়ায় এবং তৃতীয় বিন্দুটি রয়েছে বাঁকুড়ার কাছে পিয়ারডোবায়। এই তিনটি কাল্পনিক বিন্দু যোগ করলে একটি ত্রিভূজ তৈরি হয়। এই কাল্পনিক ত্রিভূজই হল ভারতের রহস্যময় বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। গত ৭৪ বছর ধরে এই ত্রিভুজের রহস্যের কোনও কিনারা হয়নি।
Imran Khan-সেনা-সরকারের মাঝে পিষছেন ইমরান,পদত্যাগ করতে পারেন পাক প্রধানমন্ত্রী
Rahul Gandhi-হিন্দুত্ব মানেই শিখ-মুসলিমকে পেটানো, বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
Climate Summit-জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতায় ২১টি দেশ, কোন প্রশ্নে এককাট্টা ভারত-চিন
এই অঞ্চলে মোট ১৬টি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই যুদ্ধবিমান। এর জেরে প্রাণ গিয়েছে প্রায় ২৫ জনের। এই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে ১৯৪৫ সালে। ব্রিটিশ রয়্যাল যুদ্ধবিমান বি-২৪ লিবারেটর এবং অন্য আরও দুই যুদ্ধবিমানের সংঘর্ষ হয়। এই ভাবে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত শেষ দুর্ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালে। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই দু’টি বিষয় একই ছিল। প্রথমত, বিমানগুলির মধ্যে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ ছিল না এবং দ্বিতীয়ত, আবহাওয়াও পরিষ্কার ছিল। ফলে এই রহস্যের আজও সমাধান হয়নি।