অর্থ মন্ত্রকের মতে, তিন মাসের জন্য বিনামূল্যে রেশনের প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়ে গেলে রাজকোষে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বোঝা পড়বে। সরকারি সূত্র বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার জমা করা খাদ্যশস্যের মজুদ পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দেশের দরিদ্র জনসংখ্যাকে বড় স্বস্তি ত্রাণ দিয়ে, কেন্দ্রীয় সরকার বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রকল্প আরও তিন মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রকল্পটি ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, সরকার এই প্রকল্পটি তিন মাসের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থাৎ এই বছরের শেষ পর্যন্ত। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কর্মচারীদেরও বড় উপহার দিয়েছে সরকার। কেন্দ্রীয় কর্মীদের ডিএও ৪ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রকের মতে, তিন মাসের জন্য বিনামূল্যে রেশনের প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়ে গেলে রাজকোষে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বোঝা পড়বে। সরকারি সূত্র বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার জমা করা খাদ্যশস্যের মজুদ পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে সরকারের কাছে ব্যাপক হারে খাদ্যশস্য পাওয়া যাচ্ছে। আগে আলোচনা ছিল যে বিনামূল্যের রেশন প্রকল্প এখন বন্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা হচ্ছে।
আগামী তিন মাসের মধ্যে গুজরাট ও হিমাচলের নির্বাচন হওয়ার কথা। এমন পরিস্থিতিতে এই প্রকল্পের মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্তকেও এর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। করোনার সময়, এই প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ আন্না যোজনা নামে ঘোষণা করেছিল। এর আওতায় প্রতি মাসে ৫ কেজি বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়।
বিনামূল্যে রেশন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন ৮০ কোটি মানুষ
দেশের প্রায় ৮০ কোটি দরিদ্র মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে, একই রেশন ইতিমধ্যেই ভর্তুকিতে পাওয়া যায়, তবে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ আন্না যোজনার অধীনে উপলব্ধ রেশন এর থেকে আলাদা। জানিয়ে রাখি, করোনার সময় লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করার জন্য এই স্কিমটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, মাস খানেক আগেই নরেন্দ্র মোদী সরকার জানায়, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা -তে যাদের কাছে রেশন কার্ড রয়েছে তাদেরও বিনামূল্যে ৫ কেজি চাল অথবা গম ১ কিলো ডাল দেওয়া হবে। এই যোজনার আওতায় দেশের ৮০ কোটিও বেশি মানুষ এই সুবিধা পাবেন ৷ প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এই আর্থিক বছরে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের পরও এই প্রকল্পটি চালানোর জন্য যথেষ্ঠ শস্য মজুত রয়েছে সরকারের কাছে।
আরও পড়ুন- রাজস্থানে গেহলট বনাম পাইলট অনুগামীদের দ্বন্দ্ব ক্রমবর্ধমান, ৩ গেহলট অনুগামী নেতাকে
আরও পড়ুন- সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ জোগানোর অভিযোগ, আপাতত ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট
আরও পড়ুন- 'তেলের দাম আমাদের পিঠ ভেঙে দিয়েছে', মার্কিন সফরে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের বিদেশমন্ত্রীর