করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নিজের দায়িত্ব থেকে সরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আবারও চড়া সুরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রামণ করলেন কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। পাশাপাশি কৃষি বিল নিয়েও তিনি কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেন। সনিয়া গান্ধী বলেন, দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্র সবথেকে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে। কৃষি আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন পঞ্জাবসহ একাধিক রাজ্যের কৃষকরা ৬০ ও ৭০ দশকের কংগ্রেসের সরকারের অধীনে হওয়া সবুব বিপ্লবের লাভ পাচ্ছিলেন। কিন্তু নতুন কৃষি আইনে তাঁরা সেই লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না। রীতিমত ধাক্কা খেতে চলেছে কৃষি অর্থনীতি। এই বিল কৃষি বিরোধী বলেও দাবি করেছেন তিনি।
উৎসব থেকে সাবধান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে শীতকালে বললেন বিশেষজ্ঞরা .
আমাকে আমার লক্ষ্য থেকে কেউ সরাতে পারবে না, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কি আবারও বার্তা দিলেন শুভেন্দু ...
করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী বলেন, ২১ দিনের মধ্যে করোনাভাইরাস জনিত মহামারিকে পরাস্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তার সরকার নাগরিকদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সরে এসেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন বিজেপি সরকারের আদক্ষতা আর অব্যবস্থাপনার কারণে মহামারি গোটা দেশকে অতল গহ্বরের দিকে ঠেলে দিয়েছে। চরম দুর্দশরার মধ্যে পড়তে হয়েছে অভিবাসী শ্রমিকদের। অনেকেই কাজ হারিয়েছেন।
সনিয়া গান্ধী বেরজগারি নিয়েও সওয়াল করেন। তিনি বলেন যুবকদের হাতে চাকরি নেই। প্রায় ১৪ কোটি মানুষ নতুন করে কর্মহীন হয়েছেন। দ্রুত গতিতে বন্ধ হচ্ছে ছোট ব্যবস্থা। লগ্নির অভাবে ঝাঁপ পড়তে শুরু করেছে ছোট দোকানগুলির। তারওপর দলিতদের ওপর অত্যাচার চলছে। আইনের শাসন বাধা পাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠানগুলির কণ্ঠস্বর রোধ করছে বলেও দাবি করেন তিনি। কৃষি বিরোধী আর শ্রম বিরোধী আইন ও দলিত নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে কংগ্রেস আগামী ৩১ অক্টোবর কিষাণ অধিকার দিবস পালন করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই দিনটি বল্লবভাই প্যাটেলের জন্মদিন। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা বল্লভভাই প্যাটেল বর্তমানে বিজেপি অন্যতম আইকন। আর ৩১ অক্টোবরই মৃত্যু হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীর। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত সত্যাগ্রহ পালন করবে কংগ্রেস।