সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক মহিলা পরীক্ষার্থীর জামার হাতা কাঁচি দিয়ে কেটে নিচ্ছে এসর পুরুষ পুলিশ কর্মী।
এক পুরুষ রক্ষী, মহিলার পরীক্ষার্থীর জামার হাতে কেটেছিল। তাও আবার পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন (National Commission For Woman)। পুরো বিষয়টিতে অত্যান্ত অবমাননাকর বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে কেন মহিলা নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে করা হয়নি তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রাজস্থান সরকারের (Rajasthan Government) কাছ থেকে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক মহিলা পরীক্ষার্থীর জামার হাতা কাঁচি দিয়ে কেটে নিচ্ছে এসর পুরুষ পুলিশ কর্মী। পুরো ঘটনাই অত্যান্ত অবমাননাকর বলেও জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।সংশ্লিষ্ট মহিলাকে সেই সময় অত্যান্ত চাপের মধ্যে গিয়ে যেতে হয়েছে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনা অস্বস্তিকরও। এই ঘটনায় মহিলা কশিমন রীতিমত আতঙ্কিত বলেও নোট দেওয়া হয়েছে রাজস্থান সরকারকে। জাতীয় মহিলাকমিশন আরও বলেছে এই ঘটনা অত্যান্ত লজ্জানক। তাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই সংস্থাটি এই বিবৃতি দিচ্ছে। মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় মহিলাদের অধিকারের ওপরেও হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। কেন মহিলাদের অধিকার রক্ষার কোনও চেষ্টা করেনি রাজস্থান সরকার। তাও জানতে চেওয়া হয়েছে। মহিলা পরীক্ষাকেন্দ্রে পুরুষ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েনেরও তীব্র প্রতিবাদ জানান হয়েছে।
LPG Cylinder: রেশন দোকান থেকে বিলি রান্নার গ্যাস, এলপিজি সিলিন্ডার নিয়ে নতুন পরিকল্পনা কেন্দ্রের
India-China: চিনের নতুন সীমান্ত আইনের তীব্র সমালোচনা ভারতের, 'একতরফা' সিদ্ধান্ত বললেন অরিন্দম বাগচি
এই ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের বিকানের একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে। বুধবার রাজস্থান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিসের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সেখানে মহিলা পরীক্ষার্থীদের ফুল হাতা জামা পরে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিছু মহিলা পরীক্ষার্থী সেই নির্দেশ অমান্য করেই ফুলহাতা জামা পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসেছিলেন। তাদেরই জামার হাতে কেটেদিয়েছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুরুষ পুলিশ কর্মী। এই ঘটনাতে অত্যান্ত দুর্ভ্যাগ্যজনক বলেও উল্লেখ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সেন রেখা শর্মা। তিনি রাজস্থান সরকারকে লেখা চিঠিতে বলেছেন মহিলাদেরও সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধীকার রয়েছে। তাতে যারা হস্তক্ষের করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
অন্যদিকে গত বছর ন্যাশানাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রাস ২০১৯এর পরীক্ষার সময়ই অনেকটা একই জিনিস দেখা গিয়েছিল। সেই সময় পরীক্ষার নিয়ম নাম মেনে আসার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ছাত্রীদের জামার হাতা ও কেটে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় এক পরীক্ষার্থীর বাবা ও মা এই কাজ করেছিল। পরীক্ষার্থীর মা জানিয়েছিলেন তাঁরা স্বামীস্ত্রী পেশায় শিক্ষক। তাই সঙ্গে সরঞ্জাম ছিল। যেসব পরীক্ষার্থীরা নিয়ম না মেনে ফুল হাতা জামা, দুল আংটি পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসেছিল তাদের সকলকেই তারা সাহায্য করেছিলেন।