Netaji Jayanti 2024: সুভাষচন্দ্র বসুর রহস্যময় অন্তর্ধান নিয়ে আজও চলছে গবেষণা, নেতাজি জয়ন্তীতে ফিরে দেখা সেই স্মৃতি

Published : Jan 23, 2024, 10:16 AM ISTUpdated : Jan 23, 2024, 10:37 AM IST
netaji subhash chandra bose

সংক্ষিপ্ত

ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এগারো বার তাঁকে কারারুদ্ধ করেছিল। তাঁর বিখ্যাত উক্তি "তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।" তিঁনিই সুভাষ চন্দ্র বোস। নেতাজির ১২৭ তম জন্মদিবসকে ঘিরে আবেগ তাড়িত গোটা দেশ। 

তৎকালীন কংগ্রেসের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির প্রকাশ্যে সমালোচনার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ এবং মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে আদর্শগত সংঘাত করার জন্য তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। গান্ধীজির অহিংস নীতি ভারতের স্বাধীনতা আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয় বলে মনে করতেন তিঁনি। এই কারণেই তিঁনি সশস্ত্র বিদ্রোহের পক্ষপাতী ছিলেন। ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের পূর্ণ ও দ্রুত স্বাধীনতার দাবি জানাতে নিজের নামে সুভাষচন্দ্র ফরওয়ার্ড ব্লক নামক একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এগারো বার তাঁকে কারারুদ্ধ করেছিল। তাঁর বিখ্যাত উক্তি "তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।" তিঁনিই সুভাষ চন্দ্র বোস। নেতাজির ১২৭ তম জন্মদিবসকে ঘিরে আবেগ তাড়িত গোটা দেশ।

নেতাজির অন্তর্ধান পর্ব-

দেশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ গ্রহণের ব্যাপারে সুভাষচন্দ্র বসু খুশি ছিলেন না। তিঁনি সে সময় গৃহবন্দি ছিলেন। তিঁনি বুঝতে পারলেন ব্রিটিশরা তাঁকে যুদ্ধের আগে ছাড়বেনা। তাই তিঁনি দুটি মামলা বাকি থাকতেই আফগানিস্তান ও সোভিয়েত ইউনিয়ন হয়ে জার্মানি পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেখান থেকে সুভাষচন্দ্র মস্কো গমন করেন। মস্কো থেকে রোম হয়ে তিঁনি জার্মানি পৌঁছান। তিঁনি বার্লিনে ফ্রি ইন্ডিয়া সেন্টার গড়ে তোলেন। ভারতের স্বাধীনতার জন্য তিঁনি জার্মান চ্যান্সেলর এডলফ হিটলারের সাহায্য প্রার্থনা করেন। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতার ব্যাপারে হিটলারের উদাসিনতা তার মনোবল ভেঙে দেয়। ফলে ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে সুভাষ বসু জার্মান ত্যাগ করেণ। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বীরত্বে হিটলার-তোজো-র মতো একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসীরাও তাঁর দিকে মৈত্রীর হাত বাড়ান। ভারতের অরবিন্দ ঘোষ, সূর্য সেন, ভগৎ সিংয়ের মতো নেতারা এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম'র মতো কবিরা তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। সমস্ত ভারতবাসীর কাছে সুভাষের বদলে তিঁনি হয়ে ওঠেন নেতাজি।

এদিকে জাতীয়তাবাদী নেতা রাসবিহারী বসু গঠন করেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি। ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে রাসবিহারী বসু এই সেনাবাহিনীর দায়িত্ব সুভাষচন্দ্র বসুকে হস্তান্তর করেন। একটি আলাদা নারী বাহিনী রানি লক্ষ্মীবাঈ কমব্যাট-সহ এই বাহিনীতে প্রায় ৮৫ হাজার সৈন্য ছিল। নেতাজি আশা করেছিলেন, ব্রিটিশদের উপর আইএনএ-র হামলার খবর শুনে বিপুল সংখ্যক সৈন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে হতাশ হয়ে আইএনএ-তে যোগ দেবে। কিন্তু এই ব্যাপারটি তেমন ঘটল না। একই সময় জাপান থেকে অর্থের সরবরাহ কমে যায়। অবশেষে, জাপানের আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে আইএনএ আত্মসমর্পণ করে।

আরও পড়ুন- Netaji Jayanti 2024: জানেন বিশ্বের প্রথম সুভাষ মন্দির কোথায় অবস্থিত, একজন ভারতীয় হিসেবে এটি অবশ্যই প্রত্যেকের জানা উচিত

আরও পড়ুন- Parakram Diwas 2024: কেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী পালিত হয় পরাক্রম দিবস হিসেবে, জেনে নিন এর ইতিহাস

১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে বর্মার বর্তমানে মায়ানমার-এর মান্দালয়ের জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় নেতাজি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর জানা যায়, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট, তাইওয়ানের তাইপেইতে এক বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর। অনেকের মতে নেতাজি সোভিয়েত রাশিয়ার কাছে বন্দি অবস্থায়, সাইবেরিয়াতে মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমানে রেনকোজি মন্দিরে রাখা নেতাজির চিতাভস্ম পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে -ওই চিতাভস্ম নেতাজির নয়। আসলে ভারতবর্ষে নেতাজির তুমুল জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একদল উঁচুতলার ভারতীয় নেতা এবং ইংরেজ সরকার মিলিতভাবে ষড়যন্ত্র করে নেতাজিকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়। তাই তৎকালীন ভারতীয় সরকার কখনোও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রকৃত মৃত্যুর কারণ জনসমক্ষে আনেননি। তাই আজও সকলের মনে তিঁনি চিরস্মরনীয়, তিঁনি চির অমর হয়ে আছেন। কারণ নেতাজির মৃত্যু আজও এক অজানা রহস্য হয়েই থেকে গিয়েছে।

PREV
click me!

Recommended Stories

বন্দে মাতরম নিয়ে সংসদে আলোচনার শুরু: দুপুর ১২টায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
যাত্রীদের টাকা ফেরতের পরও কমছে না ভোগান্তি, সপ্তাহের শুরুতেই দেশজুড়ে বাতিল ইন্ডিগো-র শতাধিক উড়ান