আতঙ্কের ৩০ দিন হল শুরু, সাবধান না হলে করোনা নিতে পারে ভয়ঙ্কর আকার

  • সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই করোনা যুদ্ধে জেতা সম্ভব
  • মাত্র ৩০ দিনের সচেতনতাই আনতে পারে সাফল্য 
  • করোনা থেকে বাঁচতে প্রয়োজন চূড়ান্ত সতর্কতা
  • সচেতন হতে হবে আক্রান্তদের 

ভারতে এখনও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তেমন মারাত্মক আকার নেয়নি। এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা একশোর কিছু বেশি। মৃত্যু হয়েছে  তিন জনের। এখনও মূলত তাদের মধ্যেই করোনার প্রকোপ দেখা দিচ্ছে যারা বিদেশ থেকে এসেছেন অথবা তাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন। কিন্তু এখনই তুমুল সচেতনা প্রয়োজন। মূলত বাড়ির বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে এই জীবানু খুব তাড়াতাড়ি নিজের চরিত্র বদল করে। কোনও মানুষের শরীরে প্রবেশের পরই খুব তাড়াতাড়ি মাল্টি অর্গান ফেইলিওরের দিকে নিয়ে যায়। বয়স্ক ও শিশুদের যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাই তাদের দিকেই বেশি যত্ন নেওয়া জরুরি। বিশ্ব-স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের দেওয়া নতুন নির্দেশিকায় বেশি করে জল পানের পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ভাইরাল ফিবার বা ফ্লু হলে রোগীর শরীরে যাতে জলের অভাব না হয় সেই দিকেই নজর দেওয়া জরুরি। এই রোগ যাতে না ছড়ায় তারজন্য সাধারণ সর্দি, কাশি জ্বর হলেও মাস্ক পরা জরুরি। এমনিতেই ভারত সরকার সকলকেই মাস্ক পরে বাড়ির বাইরে বার হতে নির্দেশ দিয়েছিল। একই সঙ্গে বারবার হাত ধোয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ আজও হচ্ছে না আস্থভোট, কাল মধ্যপ্রদেশের মামলা শুনবে শীর্ষ আদালত 

Latest Videos

বর্তমানে করোনা ভারেতে দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। এই অবস্থায় সংক্রমিতরা কোনও আক্রান্ত দেশ থেকে বয়ে এনেছে করোনার জীবানু। দ্বিতীয় ধাপ হল আক্রান্তরা যখন এই জীবানু ছড়িয়ে দেয় তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে। আর তৃতীয় ধাপ হল রোগের জীবানু যখন কোনও সম্প্রদায় বা বড় কোনও এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। চতুর্থ ধাপে  মহামারীর চেহারা নেয়। দ্বিতীয় ধাপ থেকে চতুর্থ ধাপে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ৩০ দিন। তাই এই সময়টা অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করে চলা উচিত।  আক্রান্ত ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের উচিত প্রথম থেকেই সচেতন হওয়া। নিজেদের গৃহবন্দি করে রাখা। 

আরও পড়ুনঃ মুম্বইতে করোনা আক্রান্তের মৃ্ত্যু, ভারতে মৃতের সংখ্যা ৩

করোনার সংক্রমণ রুখতে ভারত যথেষ্ট ভালো কাজ করেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব-স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু এখনও এই রোগের প্রকোপ রুখতে আরও সচেতনা প্রয়োজন। নাগরিকদের উচিত ছোট থেকে বড় যে কোনও জমায়েত এড়িয়ে চলা। ট্রেন, ট্রাম, বাস বা মেট্রোয় যাতাযাত করতে সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখা জরুরী। মাস্কের ব্যবহারও অত্যন্ত জরুরি। সংক্রমণ এড়াতে ইতিমধ্যে দেশের সব বড় ধর্মীয়তীর্থ স্থান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রায় সমস্ত দ্রষ্টব্য স্থানও। সিনেমা ও থিয়েটার হলও বন্ধ রাখা হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ চিনে জমা পড়ছে গুচ্ছ গুচ্ছ বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন, কাঠগড়ায় সেই করোনা ভাইরাস

ইতিমধ্যেই সমস্ত রকম ভিসা বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে বিদেশ থেকে করোনা আক্রান্তের আগমণ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। স্কুল, কলেজসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ বেসরকারি সংস্থা বাড়ি থেকেই কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে কর্মীদের। আগামী তিরিশ দিন যদি এইসব পরামর্শ মেনে চলা যায় তাহলেই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে পারে ভারতীয়রা। তবে এই লড়াই কোনও একজন ব্যক্তির লড়াই। ভারতীয়দের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠাই করোনা-যুদ্ধ জয়ের সাফল্য আনতে পারে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

খাদান নিয়ে Dev কে বিশ্রী আক্রমণ রাজের, দেবের পাশে দাঁড়িয়ে পাল্টা দিলেন Aritra Dutta Banik
'তৃণমূলের দুয়ারে সরকার এখন দুয়ারে জঙ্গি', তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari
Suvendu Adhikari: 'কত বড় জিহাদি, রামনবমীর মিছিলে ঢিল মেরে দেখাও', হুঙ্কার শুভেন্দুর
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন
পুলিশের তৎপরতায় বানচাল ডাকাতির প্ল্যান! গ্রেফতার ২ অপরাধী, চাঞ্চল্য Birbhum-এ