করোনার ভয়াবহ প্রকোপ পড়তে শুরু করেছে ভারতে। মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ৬৪ বছরের ব্যক্তি মুম্বইয়ের কস্তুরবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এপর্যন্ত গোটা দেশে মৃতের সংখ্যা ৩। মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯। যা গোটা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি। এদিন সকালে মুম্বইতে আরও দুই জনের শরীরে মিলেছে করোনার জীবানু। একজনের বয়স ৫০, অন্যজন ৪০ বছরের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে জরুরী বৈঠক ডেকেছেন। গোটা দেশে করোনার জীবানুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১২৯। এর আগে কর্নাটক ও দিল্লিতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রথম থেকে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। বিদেশ থেকে আসা পর্যটক ও দেশের নাগরিকদের সমান তালেই পরীক্ষা করা হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের পাঠান হচ্ছে আইসোলেশনে। দেশের সমস্ত নাগরিকদেরই সচেতন থাকতে আর্জি জানান হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে সমস্ত রাজ্যগুলি। একাধিক রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জন সমাগমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দরজা। বেলুড়মঠ, সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরসহ একাধিক মঠ ও মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকদের মতে নোভেল করোনাভাইরাস অত্যন্ত ছোঁয়াছে একটি রোগ। তবে এই জীবানু বাতাস থেকে ছড়িয়ে পড়েনা। এই জীবানু ছড়ায় মাটি, ধাতব পদার্থের মত জিনিস থেকে। চোখ, নাক, মুখ দিয়েই মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম থেকেই হাত ধোয়া ও মুখমণ্ডল পরিষ্কার রাখার বিষয়ে জোর দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস LIVE, দেশে করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১২৫
আরও পড়ুনঃ চিনে জমা পড়ছে গুচ্ছ গুচ্ছ বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন, কাঠগড়ায় সেই করোনা ভাইরাস
গোটা বিশ্বেই করোনাভয়াবহ আকার নিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে আন্তর্জাতিক মহামারী বলে চিহ্নিত করেছে। এখনও পর্যন্ত এই ভয়াবহ রোগের বলি ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষ। চিন থেকেই গোটা পৃথিবীতে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে। করোনা থেকে বাঁচতে ইউরোপের একাধিক দেশে দেখা গেছে বন্ধের চেহারা।