২০১৭ সালে লালু প্রসাদের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন নীতিশ। তার হাত ধরেই বিহারে বিজেপি উজ্জীবিত হয়েছিল। তবে ২০২০ সালে নির্বাচনে নীতিশ ও বিজেপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটে লড়েছিল।
ঠিক বেলা দুটো। দশই অগাষ্ট বুধবার রেকর্ড গড়লেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। অষ্টম বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতিশ। এদিন উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন লালু পুত্র তেজস্বী যাদব। নীতিশকে এদিন শপথ বাক্য পাঠ করান বিহারের রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে নীতিশ কুমার ও লালু প্রসাদ যাদবের দল একসঙ্গে লড়াই করে বিহারের ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু বেশিদিন একসঙ্গে থাকেনি। ২০১৭ সালে লালু প্রসাদের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন নীতিশ। তার হাত ধরেই বিহারে বিজেপি উজ্জীবিত হয়েছিল। তবে ২০২০ সালে নির্বাচনে নীতিশ ও বিজেপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটে লড়েছিল।
কিন্তু সেবছর ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ট দল হয় রাষ্ট্রীয় জনতা দল। নেতৃত্বে ছিলেন মাত্র ৩২ বছরের তেজস্বী যাদব। তাঁরা পেয়েছিলেন ৭৫টি আসন। একটি আসন কম পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি আর ৪৩ আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে যায় নীতিশ কুমারের জেডিইউ। কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৯টি আসন।
উল্লেখ্য, অষ্টম বারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন নীতীশ কুমার। নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম না করে আক্রমণ করে বলেন, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছে, ২০২৪ সালে কী থাকবে? আমরা বাঁচি বা না থাকি, ২০২৪ সালে বিজেপি সেখানে থাকবে না। বিজেপির সঙ্গে জোট ভাঙার বিষয়েও খোলাখুলি কথা বলেছেন নীতীশ কুমার । তিনি বলেন, গত দেড় মাস ধরে আমাদের কোনো কথাবার্তা হচ্ছিল না। বিজেপির সঙ্গে থেকে রীতিমত ক্ষতি হচ্ছিল জেডিইউ-র।
আরও পড়ুন-
বিহারে বিজেপিতে বড়সড় ধাক্কা! সঙ্গ ছাড়ল নীতীশ কুমারের জেডিইউ
নীতীশ কুমারের হাত ধরতে তৈরি আরজেডি, স্বাগত জানাচ্ছে কংগ্রেস
'সাধারণ মানুষ হিসেবে বলছি...', বিহারের রাজনীতি নিয়ে মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর
তেজস্বী যাদবও শপথের পর বলেন যে আমরা নীতিশ কুমারের নেতৃত্বে বিহারকে এগিয়ে নিয়ে যাব। তরুণদের কর্মসংস্থানে আমরা শিগগিরই কিছু করব। ধর্নায় বসে থাকা বিজেপি সম্পর্কে তেজস্বী যাদব বলেন, এদের সম্পর্কে কী বলা উচিত। বসে থাকুক ধর্ণায়। বিহারের জন্য এরা কোনওদিনই কিছু করেনি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে, বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নরেন্দ্র মোদীকে ঘোষণা করার পরে ১৭ বছরের জোটের পর তিনি এনডিএ-র সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। নীতিশ কুমার সেই সময় নিজে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করেছিলেন। বিজেপি মোদীকে শীর্ষ পদের জন্য মনোনীত করায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন নীতিশ ।
২০১৭ সালে, নীতিশ কুমার আরজেডি এবং কংগ্রেসের সাথে একটি মহাজোট গঠন করেন এবং ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ফিরে আসেন। তিনি ২০১৭ সালে আরজেডি-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং রাজ্যে শাসন ব্যবস্থার শ্বাসরোধ করার অভিযোগ এনে মহাজোট থেকে বেরিয়ে যান।