প্রকৃতির তাণ্ডব আর মহামারি-এই দুয়ের আক্রমণে প্রাণ গেল মধ্য প্রদেশের এক তরুণ করোনা যোদ্ধার। গত এক মাস ধরে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন শুভম উপাধ্যায়। করোনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাঁর ফুসফুস। তাঁকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় ছিল অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা। কিন্তু প্রকৃতির তাণ্ডবের কারণে সেই প্রক্রিয়া বাধা পায়। নিভার ঘূর্ণি ঝড়ের কারণে তাঁকে নিয়ে যাওয়ায় যায়নি চেন্নাইতে। আর সেই কারণে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় ৩০ বছর বয়সী এক চিকিৎসকের।
নিভার ঘূর্ণি ঝড়ের কারণে বন্ধ রয়েছে চেন্নাই বিমান বন্দর। বন্ধ রয়েছে সমস্ত উড়ান পরিষেবা। দীর্ঘ এক মাস ধরে তিনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন করোনার সঙ্গে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করতে করতে গত ২৮ অক্টোবর নিজেই মারাত্মক ছোঁয়াচে এই রোগে আক্রান্ত হন। শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে ১০ নভেম্বর ভর্তি করা হয় ভোপালের চিরায়ু হাসপাতালে। কিন্তু ক্রমেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। চিরেরু হাসপাতালের চিকিৎসক অজয় গোয়েনকা জানিয়েছেন ভর্তির সময় থেকেই শুভমের ফুসফুসের অবস্থা খারাপ ছিল। ফুসফুসের ৯৯ শতাংশ সংক্রমিত হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে তাঁকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় ছিল অঙ্গ প্রতিস্থান। কিন্তু প্রকৃতিক তাণ্ডবের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
করোনা প্রতিষেধক পৌঁছে দিতে ড্রোন, নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে কোল্ড চেন তৈরিতে জোর ...
করোনা রোধে ফিরতে পারে নাইট কার্ফু, সংক্রমণ রুখতে ১ মাসের নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের ...
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহানও শুভমের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনী সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থমঞ্জুর করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল শুভম। মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশে নতুন করে ১৭৬৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।