ভারতের সবথেকে বড় ব্যবসা কৃষি কাজ। দেশের ৪০ লক্ষ কোটি টাকার ব্য়বসা দেয় কৃষক্ষেত্র। দেশের ৪০ শতাংস মানুষই কৃষি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। রাজস্থানের আজমেড়ে কৃষকদের জনসভায় এভাবেই শুরুটা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তারপরই তিনি সুর চড়িয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তিনি বলেন, কিন্তু মোদীজি চান দেশের কৃষি ক্ষেত্রটাই তাঁর দুই বন্ধুর হাতে তুলে দিতে। কৃষি আইনের সমালোচনা করে রাহুল গান্ধী বলেন লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করে গুটিকয়েক বড় কর্পোরেট সংস্থার উপকার হবে। রীতিমত ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দেশের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকরা।
এদিন রাহুল গান্ধী আরও বলেন বিকল্প দেওয়ার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই বিকল্প হিসেবে তিনি দিয়েছেন ক্ষুধা, আত্মহত্যা আর বেকারিত্ব। প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে চান বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু কৃষি আইন প্রত্যাহার না হওয়ার পর্যন্ত কৃষকরা এই বিষয়ে কিছু বলতে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রথম থেকেই এজিন সপ্তমে ছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, কৃষকাজ শিল্পপতিদের নয়। এটি ভারত মাতার মালিকাধীন। রাজস্থানের জনসভায় দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী বলেন প্রধানমন্ত্রী চিনের সামনে দাঁড়াতে পারছেন না। কিন্তু দেশের কৃষকদের তিনি হুমকি দিচ্ছেন।
বাড়ির সামনে BSF, নজরদারীর অভিযোগ তুলে সরব তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর চিঠি ...
শিশুদের জন্য করোনা-টিকা, আশার আলো দেখাচ্ছে সেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনেকা ...
রাহুল গান্ধীর রাজস্থানের কৃষকদের সভায় উপস্থিত হওয়ার আগে ট্র্যাক্টর চালান। এদিন তাঁর সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত ও শচীন পাইলট। রাজস্থানেরই একটি কৃষক মহাপঞ্চায়েতে প্রথম কংগ্রেস নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শচীন পাইলট। তারপরই উত্তর প্রদেশের একটি কৃষক মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এদিন সেই পথে হেঁটেই কৃষকদের সভায় যোগ দিলেন রাহুল গান্ধী। আর সেখান থেকেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানালেন তিনি।