ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে একটি কোমিটি গঠন করা হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
দেশজুড়ে এক নির্বাচনের দাবিতে ফের সরব মোদী সরকার। ২৪-এর নির্বাচনের আগেই ফের 'এক দেশ এক নির্বাচন'-এর থিওরি বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এবার বড় পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র সরকার। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে একটি কোমিটি গঠন করা হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কি তবে 'এক দেশ এক নির্বাচন' বিল পাশ করাবে মোদী সরকার। শুরু হয়েছে জল্পনা।
কী এই 'এক দেশ এক নির্বাচন' তত্ত্ব?
'এক দেশ এক নির্বাচন' প্রস্তাব পাশ হলে গোটা দেশে একই সময় লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানাচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে ভোট প্যাটার্ন সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি কেন্দ্রের তরফে। এর আগেও একাধিক জনসভায় মোদী এই 'এক দেশ এক নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।' ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে এটি BJP-র নির্বাচনী ইস্তেহারেও উল্লেখ করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, পাটনা, বিহারের পর এবার মুম্বইয়ে বৈঠক হল 'ইন্ডিয়া'র। চলছে দু'দিন ব্যাপি বৈঠক। বৈঠকে যোগ দিতে বানিজ্য নগরীতে পৌঁছেছেন ২৮টি অ-বিজেপি দলের শীর্ষনেতারা। লক্ষ্য ২০২৪-এর নির্বাচনে মোদী উৎখাত। এই দু'দিনের বৈঠকে এই উদ্দেশ্যে কতটা অগ্রসর হতে পারলেন 'ইন্ডিয়া'ঢ় সদস্যরা? কী হতে চলেছে রণকৌশল? কেই বা হবেন প্রধানমন্ত্রী মুখ?
এই বৈঠকে ইন্ডিয়ার একটি নতুন লোগো উন্মোচিত হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের আলাদা আলাদা প্রতীক চিহ্ন রয়েছে। এবার জোটের সাধারণ লোগো তৈরি হলে তবে কি সেই চিহ্নেই লড়বেন জোটের প্রার্থীরা?
মুম্বাইয়ের এই বৈঠকেই গঠিত হতে চলেছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। এই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে প্রথমে নীতিশ কুমারের নাম ভাবা হলেও তিনি নিজেই কোনও পদে থাকতে রাজি হননি। সূত্রের খবর নীতিশ কুমারের পর মল্লিকার্জুন খাগড়ের নাম ভাবা হচ্ছে এই পদের জন্য। যদিও আম আদমির পার্টির পক্ষ থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নাম কনভেনর পদের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। আজই হয়তো এই নাম ঘোষণা করা হবে।