
Rajasthan Border Sealed : পাকিস্তানের দিকে বিমান হামলার পর রাজস্থানের ১০৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে সিল করে দেওয়া হয়েছে। অপারেশন সিন্দুরের পর বিএসএফ স্থলভাগের দায়িত্ব নিয়েছে এবং আকাশে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলি নজরদারি করছে। পশ্চিম সেক্টরের পাঁচটিরও বেশি বিমানঘাঁটি—যেমন যোধপুর, জয়সলমের, নাল, ফলোদি এবং উত্তরলাই—সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। এখান থেকে ক্রমাগত যুদ্ধবিমান উড়ছে।
রাজস্থান সীমান্তে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম ২৪ ঘণ্টা সক্রিয়
বিএসএফ-এর মতে সীমান্তে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। জওয়ানরা শূন্য রেখা পর্যন্ত গিয়ে নজরদারি করছেন। যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলপিজি বেড়ার গেট পর্যন্ত খোলা হয়েছে এবং অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় করা হয়েছে।
শ্রীগঙ্গানগর, জয়সলমের, বিকানেরে স্কুল বন্ধ, বিমান বাতিল
সীমান্তবর্তী গ্রাম সতর্ক, ছুটি বাতিল, পরীক্ষা স্থগিত। যদিও এখনও পর্যন্ত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি খালি করা হয়নি, তবে জরুরি অবস্থায় দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। শ্রীগঙ্গানগর, জয়সলমের, বিকানের এবং বাড়মেরে বুধবার স্কুল বন্ধ ছিল এবং বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। একই সাথে, রেলওয়ে এবং সরকারি বিভাগগুলি তাদের সমস্ত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে।
কচ্ছ থেকে গঙ্গানগর পর্যন্ত মারাত্মক যুদ্ধবিমান টহল দিচ্ছে
বিমান নজরদারি এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন। রাজস্থানের প্রধান শহরগুলিতে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। পাকিস্তান সীমান্তে যেকোনো তৎপরতার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। সুখোই-৩০ এমকেআই-এর মতো মারাত্মক যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে রণ অফ কচ্ছ থেকে গঙ্গানগর পর্যন্ত যুদ্ধ টহল চলছে।
বন্দে মাতরমের ধ্বনিতে মুখরিত রাজস্থানের রাস্তাঘাট
দেশপ্রেমে ডুবে রাজস্থান। বিমান হামলার খবর প্রকাশের সাথে সাথেই সারা রাজ্যে দেশপ্রেমের জোয়ার বয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি শহরে যুবক এবং ব্যবসায়ীরা তেরঙ্গা মিছিল করেছেন। ভারত মাতা কি জয় এবং বন্দে মাতরমের ধ্বনিতে রাস্তাঘাট মুখরিত হয়ে উঠেছে। মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে এবং আতশবাজির মাধ্যমে উৎসব পালন করা হয়েছে।
এদিকে, মারের বদলা মার। পাকিস্তানকে মেরে সেই বদলা নিয়েছে ভারত। বুধবার গভীর রাতে ভারতের এয়ার স্ট্রাইকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। ভারত সরকারের 'অপারেশন সিঁদুর'-র পর কি আরও কোনও বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার? এই নিয়ে নতুন জল্পনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে কেন্দ্র।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ সহ কেন্দ্র সরকারের হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীরা। সর্বদলীয় এই বৈঠক থেকে ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে ও দেশবাসীকে সরকারের পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছেন নমো (Narendra Modi)। "অপারেশন সিঁদুর" নিয়ে বৃহস্পতিবার সরকার সমস্ত দলকে অবহিত করে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র মারফত খবর, প্রধানমন্ত্রীর তরফে বিরোধী দলগুলোকে সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বের কথা জানানো হয়েছে। কারণ, ভারতের তিন বাহিনী একযোগে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে আঘাত হেনেছে। যা অন্যতম বৃহৎ সীমান্ত পেরিয়ে অভিযান বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের ডাকা এই সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর সভাপতিত্বে সর্বদলীয় বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জেপি নাড্ডা ও নির্মলা সীতারামন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন, লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে। ডিএমকে-র টি আর বালু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।